মঙ্গলবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন সদ্য তৃণমূলে যোগদানকারী প্রাক্তন কংগ্রেস সাংসদ সুস্মিতা দেব। জানান, মমতার সঙ্গী হয়েছেন তার মানে এই নয় যে সোনিয়ার হাত ছেড়েছেন। পাশাপাশি জানালেন, কেন তিনি তৃণমূলে। আগামী দিনে ঠিক কী ভূমিকা হতে চলেছে তাঁর, তাও স্পষ্ট করলেন। এদিন দুপুরে দিল্লীতে প্রথম সাংবাদিক সম্মেলন করেন সুস্মিতা। সেখানেই তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দেন আগামী দুই সপ্তাহ ধরে অসম ত্রিপুরা আসবেন তিনি। হাতের তালুর মতো দুইটি রাজ্য ( অসম, ত্রিপুরা ) কে চেনেন সন্তোষ মহোন দেবের সুপুত্রী। দুই রাজ্যেই তাঁর জনপ্রিয়তা তুমুল। এই দুই রাজ্যেই সংগঠনের সম্প্রসারণ চাইছে তৃণমূল। ঠিক এই সময়ে সুস্মিতার উঠে আসা টা রাজনৈতিকভাবে তুমুল তাৎপর্যপূর্ণ। সুস্মিতার মতো অভিজ্ঞ নেত্রী যে এই দুই রাজ্যে ইতিবাচক পথ দেখাতে পারে, তা তৃণমূল খুব ভালোভাবেই বুঝেছে। আর সেই মতই তাকে নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে দলের তরফে।
উল্লেখ্য, কংগ্রেসের সঙ্গে তাঁর পরিবারের চার প্রজন্মের সম্পর্ক। এ হেন সিদ্ধান্তে সেই সম্পর্ক ছিন্ন হবে না বলেই মনে করেন সুস্মিতা। বরং তাঁর যুক্তি এ একরকম গাঁটছড়া। এদিন সুস্মিতা প্রকাশ্যেই মন্তব্য করেন, ভবিষ্যতে রাহুল গান্ধী ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের যুগলবন্দি নতুন পথ দেখাবে। এদিন সুস্মিতার মুখে বারবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভূয়সী প্রশংসা শোনা যায়। তিনি বলেন, “আমার বাবার সঙ্গে মমতাদির সম্পর্ক অত্যন্ত ভালো ছিল। ২০০৬ সালে ওকালতি করতাম। তখন মমতাদির একটানা ২৬ দিনের অনশন আমার মনকে নাড়া দিয়েছিল। শেষ বিধানসভা নির্বাচনের প্রসঙ্গ তুলে এনে সুস্মিতার যুক্তি, মমতাদি যে সাহস দেখিয়েছেন, যে কাজ করে দেখিয়েছেন তা অন্য কেউ পারে বলে মনে হয় না।” তবে সুস্মিতা কিন্তু কোনও রকম ভাবেই কংগ্রেসের প্রতি কোনও অসূয়া প্রকাশ করছেন না। তাঁর এই সিদ্ধান্ত যেন রাজনীতির ভাষায় স্ট্র্যাটেজিক মুভ। তাই তিনি স্পষ্ট বলছেন, “ভবিষ্যতেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সোনিয়া গান্ধীর আশীর্বাদ নিয়ে চলব।”