রাজ্য সরকারের জনপ্রিয়তম কর্মসূচি ‘দুয়ারে সরকার’ এর দ্বিতীয় পর্বের প্রথম দিনেই ব্যাপক সাড়া ফেলল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বপ্নের প্রকল্প ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’। সোমবার রাজ্যজুড়ে ‘দুয়ারে সরকার’-এর শিবিরের প্রথমদিনে ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ এর সুবিধা পেতে আবেদন জানিয়েছেন ১০ লাখের বেশি। আর মহিলাদের মধ্যে ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ ঘিরে এমন অভূতপূর্ব সাড়া মেলায় খুশি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও রাজ্য প্রশাসনের শীর্ষ আমলারা।
‘দুয়ারে সরকার’ কর্মসূচিতে সবচেয়ে বেশি আবেদন জমা পড়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায়। ওই জেলায় প্রথমদিন জমা পড়েছে ২ লাখ ৯৩ হাজার ৮৩৩টি আবেদন। তার মধ্যে ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের’ সুবিধা পেতে চেয়ে আবেদন করেছেন ১ লাখ ৭১ হাজার ৬৩৩ জন। স্বাস্থ্যসাথীর জন্য আবেদন জানিয়েছেন ৪০ হাজার ২৮১ জন। খাদ্যসাথীর জন্য আবেদন জানিয়েছেন ১৭ হাজার ৪৭৯ জন।
সাধারণ মহিলারা মাসে পাবেন ৫০০ টাকা আর তপশিলি জাতি ও উপজাতিভুক্ত মহিলারা পাবেন মাসে হাজার টাকা। মূলত মহিলাদের মাসিক হাতখরচ হিসেবেই এই বিশেষ ভাতা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বাংলার জনদরদী মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর সেই ঘোষণা যে কত বড় মাস্টারস্ট্রোক, তা প্রথমদিনেই প্রমাণ হয়েছে।
রাজ্য জুড়ে প্রায় ১৭ হাজার ৫০০ ক্যাম্প চলছে। ‘দুয়ারে সরকারে’ প্রথমদিনেই সুপারহিট ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার।’ রাজ্য জুড়ে প্রায় ১৬ লাখ আবেদন জমা পড়েছে ‘দুয়ারে সরকার’ ক্যাম্পে। সূত্রের খবর, তার মধ্যে ১০ লাখ ৩০৩টি আবেদন ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ প্রকল্পের জন্য জমি দেওয়া হয়েছে। নতুন প্রকল্পের এহেন সাফল্যে খুশি মুখ্যমন্ত্রী ও নবান্নের আমলারা।
তবে প্রথমদিন রাজ্যের বাকি জেলার চেয়ে ‘দুয়ারে সরকারে’ আবেদনের দিক দিয়ে এগিয়ে রয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা। এই জেলায় সব প্রকল্প মিলিয়ে প্রথমদিনেই আবেদন জমা পড়েছে ২ লাখ ৯৩ হাজার ৮৩৩ টি অর্থাৎ প্রায় তিন লাখ। দক্ষিণ ২৪ পরগনাতেও ‘দুয়ারে সরকারে’ এক নম্বরে আছে ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’। আবেদন জমা পড়েছে ১ লাখ ৭১ হাজার ৬৩৩ টি। দ্বিতীয় স্থানে স্বাস্থ্যসাথী। জমা পড়েছে ৪০ হাজার ২৮১ টি আবেদন।
তৃতীয় স্থানে কাস্ট সার্টিফিকেট। জমা পড়েছে ২২ হাজার ৬৪৯ টি আবেদন। ও চতুর্থ স্থানে খাদ্যসাথী। এই স্কীমে প্রথম দিনই আবেদন জমা পড়েছে ১৭ হাজার ৪৭৯ টি। এছাড়াও ১০০ দিনের কাজ থেকে একাধিক প্রকল্পের সুবিধা পেতে আবেদন জমা পড়েছে এই জেলায়।
নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, ‘এদিন ‘দুয়ারে সরকার’ এর দ্বিতীয় পর্বের সূচনার দিনে রাজ্যজুড়ে সাড়ে ১৭ হাজার শিবিরের আয়োজন করা হয়েছিল। প্রথম দিন ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’, ‘স্বাস্থ্যসাথী’ সহ জনকল্যাণমূলক প্রকল্পের সুবিধা পেতে প্রায় ১৬ লক্ষ মানুষ আবেদন জমা দিয়েছেন। তার মধ্যে শুধু ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ প্রকল্পেই জমা পড়েছে ১০ লাখ ৩০৩টি আবেদন। ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের’ পরে স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের সুবিধা পাওয়ার জন্য সবচেয়ে বেশি আবেদন জমা পড়েছে।