অপহরণ যেন অহরহ হয়ে দাঁড়িয়েছে। চোখ খুললে এমন ঘটনার তাণ্ডব শোনা যায়। প্রায় পাঁচ মাস নিখোঁজ থাকার পর উত্তর প্রদেশের বাগপথ থেকে ডায়মন্ড হারবার থানার বাসুলডাঙার এক নাবালিকা ছাত্রীকে উদ্ধার করল ডায়মন্ড হারবার মহিলা থানার পুলিশ। গত মার্চ মাসে বাড়ি থেকে স্কুলে গিয়ে আর বাড়ি ফেরেনি ডায়মন্ড হারবার গার্লস হাইস্কুলের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী। পরে পরিবারের লোকজন ডায়মন্ড হারবার মহিলা থানায় নিখোঁজের অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগের ভিত্তিতে ডায়মন্ড হারবার মহিলা থানার পুলিশ ঘটনার তদন্তে নামে। এরপরই, পুলিশ জানতে পারে উত্তর প্রদেশের এক যুবকের সঙ্গে ওই ছাত্রী ফেসবুকে কথা বলত। সেই সূত্র ধরে জানা যায়, নাবালিকা ছাত্রী উত্তর প্রদেশের বাগপথ এলাকায় রয়েছে। ডায়মন্ড হারবার পুলিশ জেলার এস পি অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় ও এসপিডিও মিতুন দে’র সহযোগিতায় ডায়মন্ড হারবার মহিলা থানার ভারপ্রাপ্ত ওসি পিঙ্কি ঘোষের নেতৃত্বে একটি টিম উত্তর প্রদেশের বাগপথ থেকে নাবালিকা ছাত্রীকে উদ্ধার করে নিয়ে আসেন। অন্যদিকে অভিযুক্ত যুবক সাহিন আলভি পলাতক।
প্রসঙ্গত, মাস খানেক আগেই বীরভূমের নলহাটি থানার তৎপরতায় গুজরাতের সুরাট থেকে উদ্ধার করা হয়েছিল নলহাটির এক গৃহবধূকে। বীরভূমের নলহাটি থানার পাইকপাড়া গ্রামের এক তরুনীর সঙ্গে ফেসবুকে পরিচয় হয় নেপালের জলেশ্বর থানার হালখোরি গ্রামের যুবক রাকেশ কুমার পাণ্ডের। ফেসবুকের কথা পরিণতি পায় প্রেমে। তাঁদের মধ্যে গভীর ভালবাসার সম্পর্কও গড়ে ওঠে। রাকেশের সাথে প্রেম চলাকালীনই বছর দেড়েক পরে নলহাটি থানারই লোহাপুর সংলগ্ন বারা গ্রামে ওই তরুণীর এক কৃষক পরিবারে বিয়ে হয়। বিয়ের পরও ফেসবুকের রাকেশের সঙ্গে ভালবাসার সম্পর্ক বজায় রেখেছিল গৃহবধূ।