এ যেন আলো থেকে অন্ধকারের দিকে পিছু হাঁটা। দু’দশক পর ফের তালিবানি শাসনে ‘কাবুলিওয়ালার দেশ’। আর আফগানিস্তানের এই মর্মান্তিক পরিস্থিতিতে উদ্বেগ প্রকাশ করলেন নোবেলজয়ী সমাজকর্মী মালালা ইউসুফজাই। টুইটারে তিনি উদ্বেগপ্রকাশ করেছেন। বিশেষত আফগানিস্তানের শিশু, মহিলা ও মানবাধিকার কর্মীদের নিয়ে ভীষণ চিন্তায় নোবেলজয়ী তরুণী।
রবিবারই তালিবানের দখলদারিতে আফগান প্রশাসনের পতন নিশ্চিত হয়। লড়াইয়ের বদলে আফগান সেনার হাত থেকে স্রেফ কাবুল ছিনিয়ে নেয় জঙ্গিগোষ্ঠী। রাজধানী শহর থেকে আফগানিস্তানের জাতীয় পতাকা নামিয়ে সেখানে উড়ছে তালিবানি পতাকা। তাদের হাতে কার্যত আত্মসমর্পণ করে দেশ ছেড়ে গা ঢাকা দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট আশরফ ঘানি।
প্রসঙ্গত, পাকিস্তানি কন্যা মালালা তালিবানি অত্যাচার সম্পর্কে বেশ ওয়াকিবহাল। ২০১১ সালে খাইবার পাখতুনখোয়া অঞ্চলের বাসিন্দা কিশোরী মালালাকে স্কুলবাসে গুলি করে হত্যার চেষ্টায় অভিযুক্ত জঙ্গিরাই। প্রাণ বাঁচাতে ব্রিটেনে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা করানো হয়। তারপর থেকে তিনি ও তাঁর পরিবার ব্রিটেনের নাগরিক।
নারীশিক্ষায় বরাবর আন্দোলন চালিয়ে যাওয়া মালালা নিজের কাজের জন্য ২০১৪ সালে তিনি ভারতের কৈলাস সত্যার্থীর সঙ্গে যৌথভাবে নোবেল শান্তি পুরস্কার পান। মালালা এখন নারী অধিকার রক্ষায় কাজ করেন। নিজের দেশেরই প্রতিবেশীর এহেন পরিস্থিতিতে গভীর চিন্তায়।
তিনি সম্ভবত তাজিকিস্তানে পালাচ্ছেন। আর তাঁর কুর্সিতে এখন বসবে তালিবানি শীর্ষ নেতা – আলি আহমেদ জালালি। আবার ঘানি বরাদরের নামও ঘোরাফেরা করছে। এসব খবর জেনেই টুইট করেছেন উদ্বিগ্ন মালালা।
টুইটে লিখেছেন, ”তালিবানের এভাবে আফগানিস্তান দখলের খেলা দেখে আমি অত্যন্ত দুঃখিত, ব্যথিত। আমি সেখানকার মহিলা, সংখ্যালঘু এবং মানবাধিকার কর্মীদের নিয়ে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। বিশ্বের সমস্ত শক্তির কাছে আমার আবেদন, তারা সকলে যেন একযোগে আফগানিস্তানে শান্তি স্থাপনের চেষ্টা করেন এবং সে দেশের সাধারণ মানুষ ও উদ্বাস্তুদের যেন সবরকম সাহায্য পৌঁছে দেয়।”