হাত ছেড়ে কি ঘাসফুলে যোগ দিতে চলেছেন সুস্মিতা দেব? কংগ্রেস থেকে পদত্য়াগ করার পরই তৃণমূলে যোগ দেওয়া ঘিরে তুমুল জল্পনা। সূত্রের খবর, আজই কলকাতায় আসতে পারেন তিনি, দেখা করতে পারেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে।
সোমবার সকালেই কংগ্রেস থেকে ইস্তফা দেন শিলচরের প্রাক্তন সাংসদ সুস্মিতা দেব। দলনেত্রী সনিয়া গান্ধীর কাছে ইতিমধ্যেই তিনি ইস্তফা পত্র জমা দিয়েছেন। বেলা গড়াতেই জল্পনা শোনা যায়, বিজেপি নয়, বরং তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিতে পারেন সুস্মিতা দেব। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ক্যামাক স্ট্রিটের অফিসে দেখা করতে পারেন তিনি।
কিন্তু কেন সুস্মিতাকে দলে টানতে তৎপরতা বাড়িয়েছে এ রাজ্যের শাসক দল? রাজনৈতিক মহল বলছে, সুস্মিতার দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক জ্ঞান। কংগ্রেসের সর্বভারতীয় মহিলা সংগঠনের শীর্ষে থেকেও দায়িত্ব সামলেছেন তিনি। তাছাড়াও সন্তোষ দেবের কন্যা হিসেবেও দেশের রাজনীতিতে সুস্মিতার একটা গ্রহণযোগ্যতা তৈরি হয়েছে। সর্বোপরি, মহিলা মুখ হিসেবে অসমে সুস্মিতা দেবই হতে পারেন তৃণমূলের ট্রাম্প কার্ড। এ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে ‘বাংলা নিজের মেয়েকে চায়’ স্লোগানে ভর করে তৃতীয় বারের মতো ক্ষমতায় এসেছে তৃণমূল। এই পরিস্থিতিতে আসামেও একজন মহিলাকে সামনে রেখে এগোলে ডিভিডেন্ট মিলতে পারে বলে মনে করছেন তৃণমূল নেতৃত্ব।
অপরদিকে, সুস্মিতার দলত্যাগে বিড়ম্বনায় পড়েছে কংগ্রেসে। সুস্মিতা দেবের পদত্যাগ প্রসঙ্গে কংগ্রেস মুখপাত্র রণদীপ সিং সুরজেওয়ালার বক্তব্য, ‘সুস্মিতা ভালো মানুষ। ভালো রাজনীতিক। তিনি কেন আচমকা দল ছাড়লেন তা আমাদের জানা নেই। কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধি এখনও সুস্মিতার পদত্যাগপত্র পাননি। সুস্মিতার মোবাইল ফোন বন্ধ। তার সঙ্গে কথা না বলে দল কোনও মন্তব্য করবে না’। কিন্তু কংগ্রেসের ‘বিদ্রোহী’ নেতা কপিল সিব্বল রীতিমতো দলীয় নেতৃত্বকেই নিশানা করেছেন।