দীর্ঘ টানাপোড়েনের পর কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর অ্যাকাউন্ট আনলক করল টুইটার। যদিও সাসপেনশন ওঠানোর কোনও কারণ মাইক্রো ব্লগিং সাইটটির তরফে জানানো হয়নি। তবে এই ঘটনাকে তাঁদের জয় বলেই ব্যাখ্যা করছে কংগ্রেস।
রাহুলের অ্যাকাউন্টের উপর থেকে টুইটার কর্তৃপক্ষের সাসপেসশন উঠিয়ে নেওয়া প্রসঙ্গে কংগ্রেস নেতা রোহন গুপ্তা বলেন, ‘কংগ্রেসের সমস্ত অ্যাকাউন্ট আনলক করা হয়েছে। তবে টুইটারের তরফে আনব্লক করার কোনও কারণ জানানো হয়নি’। ঘটনাকে জয় হিসেবে ব্যাখ্যা করে কংগ্রেস তরফে টুইটে লেখা হয়েছে, ‘সত্যমেব জয়তে’।
দিল্লীতে নির্যাতিতা দলিত কন্যা এবং তাঁর পরিবারের পরিচয় প্রকাশ্যে আনার অভিযোগে রাহুল গান্ধীর অ্যাকাউন্ট লক করে টুইটার। রাহুলের বিরুদ্ধে টুইটার কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ দায়ের করে জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশন। এরপর রাহুলের টুইট রিটুইট করার অভিযোগে লক করা হয় বেশ কয়েকজন শীর্ষ কংগ্রেস নেতার অ্যাকাউন্টও। এরপরই মাইক্রো ব্লগিং সাইটির বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পরে কংগ্রেস নেতৃত্ব। তাঁদের সমর্থন করে অন্যান্য বিরোধী শক্তিরাও।
শুক্রবারই টুইটারের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন রাহুল গান্ধী। ইউটিউবে প্রকাশিত একটি ভিডিও বার্তায় মাইক্রো ব্লগিং সাইটটির বিরুদ্ধে গণতন্ত্রের কণ্ঠরোধের অভিযোগ করেন তিনি। রাহুল গান্ধীর দাবি, দেশের রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ করছে টুইটার। কেন্দ্রীয় সরকারের ইশারায় গণতান্ত্রিক কাঠামোয় আঘাত হানছে সংস্থাটি। কংগ্রেস সাংসদ অভিযোগ করেন, ‘আমাদের গণতন্ত্র বিপদের মুখে দাঁড়িয়ে রয়েছে। সংসদে আমাদের বলতে দেওয়া হচ্ছে না। মিডিয়াকে নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। টুইটার আমাদের আশার আলো দেখাত। আমরা ভাবতাম, সেখানে কথা বলা যায়। তবে এখন এটা স্পষ্ট যে টুইটারও নিরপেক্ষ সংস্থা নয়। সেখানেও পক্ষপাত হচ্ছে। সরকারের কথা মত চলছে’।