লক্ষ্য ২০২৩ বিধানসভা নির্বাচন। আর সেই লক্ষ্যেই কোমর বেধে ত্রিপুরায় নেমেছে তৃণমূল। সেই সূত্রেই জনসংযোগ বাড়াতে ত্রিপুরায় একযোগে ত্রিপুরায় হাজির হচ্ছেন ৯ সাংসদ। ইতিমধ্যেই ত্রিপুরায় পৌঁছে গিয়েছেন তৃণমূল সাংসদ অপরূপা পোদ্দার ও শান্তনু সেন। পৌঁছে গিয়েছেন ব্রাত্য বসুও। বাকিরা পৌঁছে যাবেন আজকালের মধ্যেই। এই ত্রিপুরাতেই ১৬ আগস্ট ঘটা করে ‘খেলা হবে দিবস’ পালন করতে চলেছে তৃণমূল। এদিন তৃণমূলে যোগদান পর্বও চলে। সেখানেই ব্রাত্য বসু দাবি করেন, ১৬ আগস্ট দশ হাজার মানুষ নিয়ে আগরতলায় মিছিল করবে তৃণমূল। সেখানেই হাজির থাকবেন ৯ তৃণমূল সাংসদ ও মন্ত্রী ব্রাত্য।
বাংলা তো বটেই, বিজেপি শাসিত ত্রিপুরা, গুজরাত, উত্তরপ্রদেশেও খেলা হবে দিবস পালন করবে তৃণমূল। দলের শীর্ষ স্তর থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ত্রিপুরায় যেন বিজেপিকে এক ইঞ্চি জমিও ছাড়া না হয়। তাই ২১শে জুলাই পালনের মতো করেই ত্রিপুরায় খেলা হবে দিবস পালন করতে উদ্যোগী হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস।
এদিকে, বিপ্লব দেব গোষ্ঠী ও সুদীপ রায় বর্মন গোষ্ঠীর সংঘাত নিয়েও চিন্তায় বিজেপি। বিপ্লব দেবের মুখ্যমন্ত্রিত্ব টালমাটাল বলে যে গুঞ্জন ওঠেছিল তাঁর দিল্লি যাত্রার পর, তা এদিন খারিজ করে দিয়েছেন ত্রিপুরা বিজেপির রাজ্য সভাপতি মানিক সাহা। এদিন দিল্লি থেকে ফিরেই তিনি জানান, এখনই মুখ্যমন্ত্রী বদলের কোনও পরিকল্পনা নেই ত্রিপুরায়। বরং বিপ্লব দেবই দায়িত্বভার নিয়ে থাকবেন বলেও স্পষ্ট করে দিয়েছেন তিনি। ফলে একদিকে যেমন ত্রিপুরায় বিজেপির গোষ্ঠীকোন্দল আরও মাথাচাড়া দেওয়ার আশঙ্কা দেখা দিল, তেমনি তৃণমূলও বিপ্লব দেবকে নিশানা করে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার পথেই রইল।