ভোট প্রচার-পর্বে বিজেপি-বিরোধিতায় তাদের ঘাটতি ছিল বলে আগেই মেনে নিয়েছিল রাজ্য সিপিএম। দলের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র সরাসরি কবুল করেছিলেন যে, ‘বিজেমূল’-এর মতো স্লোগান ব্যবহার করা ভুল হয়েছিল। বিজেপি ও তৃণমূলের মধ্যে বোঝাপড়া বোঝাতে সভা-সমাবেশে এমন কিছু কথা ও স্লোগান সিপিএমের বিভিন্ন স্তরের নেতৃত্বের মুখে শোনা গিয়েছিল, যার সঙ্গে বাস্তব পরিস্থিতির যোগ নেই। বরং ওই ধরনের প্রচার ‘জনমানসে’ বিভ্রান্তি তৈরি করেছিল। তবে দোষ কবুল করাতেই ‘সাত খুন মাফ’ নয়৷ ‘বিজেমূল’ কাঁটা যেন বিঁধেই রয়েছে আলিমুদ্দিনের অন্দরে। এ নিয়ে এবার শীর্ষ নেতৃত্বের তোপের মুখে বঙ্গ সিপিএম। সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখেই কেন পার্টি ‘বিজেমূল’ শব্দ প্রচারে তুলে ধরল? সূর্যকান্ত মিশ্রদের ভর্ৎসনার সুরেই এই প্রশ্ন করলেন সিপিএম সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি।
জানা গিয়েছে, ইয়েচুরির রুদ্রমূর্তি দেখেই ‘বিজেমূল’ শব্দ ব্যবহার ভুল হয়েছে বলে রাজ্য কমিটির বৈঠকের শুরুতেই স্বীকার করে নিলেন সিপিএম রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র। বিজেপি ও তৃণমূলকে এক সারিতে বসিয়ে বিরোধিতাটাও যে ভুল হয়েছিল, তাও স্বীকার করে নেন তিনি। এর আগেও বিধানসভা ভোটে রাজ্যে শূন্য হয়ে যাওয়া নিয়ে দলের কেন্দ্রীয় কমিটির অগ্নি-বর্ষণের মুখে পড়তে হয়েছিল আলিমুদ্দিনকে। নির্বাচনী কৌশলে ভুল পথে হেঁটেই বাংলায় বামেদের ভরাডুবি হয়েছে— এমনই অভিযোগে সরব হয়েছিলেন কেরালা, অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলঙ্গানা-সহ একাধিক রাজ্যের নেতারা। ‘মোদী এবং দিদি’কে এক করে দেখাও বিপর্যয়ের অন্যতম কারণ, সেই বিষয়ও উঠে এসেছে কেন্দ্রীয় কমিটির অন্দরে।