গত ১৯ জুলাই সংসদে বাদল অধিবেশন শুরুর আগের দিনই সামনে চলে আসে পেগাসাস কাণ্ড। তার ফলে বাদল অধিবেশনের প্রথম দিন থেকেই এই ইস্যুতে উত্তাল লোকসভা ও রাজ্যসভা। কার্যত অচলই ছিল সংসদের দুই কক্ষ। এই আবহে লোকসভার পর রাজ্যসভাতেও পাশ হয়ে গেল সংবিধানের ১২৭তম সংশোধনী বিল।
মূলত ২০১৮ সালের সুপ্রিম কোর্টের একটি রায়কে অকেজো করতেই বিলটি আনা হয়। ২০১৮ সালে মারাঠা সংরক্ষণ মামলায় শীর্ষ আদালত জানিয়েছিল, ওবিসি কারা হবেন, তা শুধুমাত্র কেন্দ্র সরকারই নির্ধারণ করতে পারবে। এর ফলে অনেক রাজ্যেই পিছিয়ে পড়া বহু সম্প্রদায় সংরক্ষণের আওতা থেকে বাদ পড়ে যাচ্ছিল। লোকসভাতেই সংবিধানের এই সংশোধনীটি সমর্থন করেন বিরোধীরা। রাজ্যসভাতেও এই বিলটিতে বিরোধীদের সমর্থন পেয়েছে কেন্দ্র। সংসদের দুই কক্ষেই বিলটি পাশ হয়ে যাওয়ায় এর আইনে পরিণত হওয়াটা এখন সময়ের অপেক্ষা।
পেগাসাস ইস্যুতে সংসদে লাগাতার বিক্ষোভের মধ্যে শাসক ও বিরোধীদের মধ্যে যে নজিরবিহীন সৌহার্দ্যের পরিবেশে সংসদের দুই কক্ষে আইনটি পাশ হয়ে গেল তা এককথায় চমকপ্রদ। তবে বিলটি পাশ হওয়ার পরেই ফের শুরু হয় পেগাসাস-কাণ্ড নিয়ে বিক্ষোভ। এদিন বিক্ষোভ চলাকালীন বিরোধীদের ওপর হামলা হয় বলেও অভিযোগ উঠেছে। এমনকী বহিরাগতরা এসে বিরোধী শিবিরের মহিলা সাংসদদের ওপর আক্রমণ চালিয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছেন এনসিপি নেতা শরদ পাওয়ার। এসব বিক্ষোভের মধ্যেই রাজ্যসভা অনির্দিষ্টকালের জন্য মুলতুবি করে দেন চেয়ারম্যান বেঙ্কাইয়া নায়ডু।