করোনা আবহে থমকে ছিল সমস্ত কাজ। তবুও বাধা কাটিয়ে অনন্ত আকাশের উদ্দেশে পাড়ি দিয়েছিল ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থার ইসরো। সবচেয়ে শক্তিশালী জিওসিনক্রোনাস স্যাটেলাইট লঞ্চ ভেহিকল-এফ১০ রকেট। কক্ষপথে ভারতের নতুন ভূপর্যবেক্ষণের উপগ্রহ জিও ইমেজিং স্যাটেলাইট (জিস্যাট)-১-কে (ইওএস-০৩) স্থাপন করাই ছিল এই অভিযানের উদ্দেশ্য। তবে যান্ত্রিক গোলযোগের জন্য ব্যর্থ হয়েছে ইসরোর এই মিশন।
বৃহস্পতিবার অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটার সতীশ ধবন মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র থেকে ভোর ৫টা ৪৩মিনিট নাগাদ জিস্যাট-১ উপগ্রহ নিয়ে নির্ধারিত কক্ষপথের উদ্দেশে পাড়ি দেয় সম্পূর্ণ দেশীয় পদ্ধতিতে তৈরি জিএসএলভি-এফ১০ রকেট। ভয়াল বন্যা ও সাইক্লোনের মতো নানা ধরনের প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের মোকাবিলায় যাতে সেই সব দুর্যোগের আগাম খবর পাওয়া যায়, তারই জন্য জিস্যাট-১-এর মতো শক্তিশালী উপগ্রহ পৃথিবীর কক্ষপথে পাঠানো হচ্ছে বলে ইসরোর তরফে জানানো হয়েছিল। সেই সিরিজেরই উপগ্রহ হচ্ছে ইওএস-০৩।
উল্লেখ্য, অত্যন্ত শক্তিশালী এই জিএসএলভি রকেট সর্বাধিক ৫ টন ওজনের কোনও উপগ্রহকে নিখুঁত ভাবে পৃথিবীর কক্ষপথে স্থাপন করতে পারে। এর আগে জিএসএলভি মার্ক-৩ রকেটের পিঠে চাপিয়ে ইসরো চাঁদের কক্ষপথে পাঠিয়েছিল চন্দ্রযান-২-কে। যা এখনও চাঁদকে প্রদক্ষিণ করে চলেছে। গতই ফেব্রুয়ারি মাসে ব্রাজিলের একটি উপগ্রহ-সহ অন্তত ১৮টি স্যাটেলাইট কক্ষপথে স্থাপন করে ইসরোর পিএসএলভি রকেট।
বুধবার কাউন্টডাউন শুরু হওয়ার পর থেকে সমস্ত কিছু পরিকল্পনা মাফিক চলছিল, কিন্তু বাধ সাধল নিয়তি। ইসরো জানিয়েছে, আজ অর্থাৎ বৃহস্পতিবার ‘লিফট অফ’ বা উৎক্ষেপণের পর সব ঠিকই ছিল। মহাকাশের উদ্দেশে যাত্রা শুরুর প্রথম ও দ্বিতীয় পর্যায়ে নিয়ম মেনেই সমস্ত কাজ করেছে এফ১০ রকেট। তবে যান্ত্রিক গোলযোগের জন্য ক্রায়োজেনিক ইঞ্জিনে কিছু সমস্যা দেখা দেয়। তাই এই মিশন সম্পূর্ণ করা যায়নি। ইসরো চেয়ারম্যান কে শিবান বলেন, “আমার বন্ধুদের জানতে চাই যে এই মিশন সম্পূর্ণ করা যায়নি। কারণ ক্রায়োজেনিক স্টেজে রকেটে কিছু সমস্যা দেখা দেয়।”