মমতা সরকার জলস্বপ্ন প্রকল্প গ্রহণের পর পরই পানীয় জল সরবরাহে দেশের মধ্যে প্রথম চার রাজ্যের মধ্যে উঠে এসেছিল বাংলা। এমনকী একদিনে সর্বোচ্চ বাড়িতে পানীয় জলের কানেকশন করে ১৪ জুলাই দেশের মধ্যে প্রথম হয় এ রাজ্য। এবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘জলস্বপ্ন’ প্রকল্পকে আরও প্রসারিত করার উদ্যোগ নিল নবান্ন। ওই প্রকল্পের আওতায় এবার আনা হচ্ছে স্কুল, অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টার এবং স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিকেও। এই মর্মে জেলা গুলিতে নির্দেশিকা পাঠিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যসচিব হরেকৃষ্ণ দ্বিবেদী।
গত বছরের জুলাই মাসে ‘জলস্বপ্ন’ প্রকল্পের কথা জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেছিলেন এই প্রকল্পের মাধ্যমে রাজ্যের গ্রামীণ এলাকাগুলিতে পরিশুদ্ধ পানীয় জল পৌঁছে দেওয়া হবে। সরাসরি পাইপলাইনের মাধ্যমে অন্তত ২ কোটি বাড়িতে পানীয় জল পৌঁছে দেওয়ার কথা বলেছিলেন তিনি। এই প্রকল্পের জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রায় ৫৮ হাজার কোটি টাকা খরচ হবে বলে জানিয়েছিলেন। নির্ধারিত সময় ধার্য করা হয়েছিল ৫ বছর। তবে এবার শুধু ২ কোটি বাড়িই নয়, এবার এই প্রকল্পের সুবিধা পাবে স্কুল, অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র এবং স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিও। পাশাপাশি, ‘জলস্বপ্ন’ প্রকল্পে গতি আনতে উদ্যোগী হয়েছেন রাজ্যের মুখ্যসচিব।
জেলাশাসকদের এই প্রকল্প নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বাস্তবায়নের জন্য নির্দেশ পাঠিয়েছেন তিনি। সমস্ত জেলাশাসককে মুখ্যসচিব বলেছেন, নিজের নিজের জেলায় এই প্রকল্পের রিভিউ করতে হবে। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এই প্রকল্পের জন্য প্রয়োজনীয় জমি কিনতে হবে এবং জেলায় পরিত্যক্ত সরকারি জমি থাকলে তা চিহ্নিত করে প্রকল্পের কাজে লাগানোর পরিকল্পনা করতে হবে। স্কুল অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টার এবং স্বাস্থ্য পরিষেবা কেন্দ্রগুলিতেও ‘জলস্বপ্ন’ প্রকল্পের মাধ্যমে পাইপলাইনের মাধ্যমে পরিশুদ্ধ পানীয় জল পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। প্রতি সপ্তাহে এই প্রকল্পের কাজ পর্যালোচনা করতে হবে। আগস্ট মাসের শেষ সপ্তাহের মধ্যে নির্দেশ অনুযায়ী পদক্ষেপ করে পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট নবান্নে জমা দিতে হবে।