আগামী সেপ্টেম্বর মাসের শেষে রাজ্যে ৭ বিধানসভা আসনে ভোটের সম্ভাবনা। এরমধ্যে ৫ বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন, দুই কেন্দ্রে ভোটের সম্ভাবনা রয়েছে। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই রাজ্য নির্বাচন আধিকারিক (সিইও) দফতরের সঙ্গে কথা হয়েছে নির্বাচন কমিশনের। রাজ্য প্রশাসনের আধিকারিকদের সঙ্গেও কথা হয়েছে। সবমিলিয়ে আগামী সেপ্টেম্বরের শেষে রাজ্যে সাত আসনে ভোটের সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে সূত্র। ভবানীপুর, খড়দা, গোসাবা, শান্তিপুর, দিনহাটা, এই পাঁচ আসনে উপনির্বাচন ও সামশেরগঞ্জ, জঙ্গিপুর বিধানসভা আসনে ভোটের প্রস্তুতি শুরু হয়েছে বলে সূত্রের খবর।
উল্লেখ্য, ৫ই নভেম্বরের মধ্যে যে কোনও বিধানসভা কেন্দ্র থেকে জিতে আসতেই হবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে।এই অবস্থায়, এখনও উপনির্বাচনের দিনক্ষণ নিয়ে কিছুই জানায়নি জাতীয় নির্বাচন কমিশন। সম্প্রতি এই নিয়ে দিল্লীতে কমিশনের দ্বারস্থও হয় তৃণমূল। এরপর ফের রাজ্যের ৫টি বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচন-সহ ৭ কেন্দ্রের ভোটের দাবিতে কয়েকদিন আগেই রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের সঙ্গে দেখা করেছিলপার্থ চট্টোপাধ্যায়, শশী পাঁজা-সহ তৃণমূলের পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধি দল। রাজ্যে করোনায় মৃত ও আক্রান্তের সংখ্যা কমার উদাহরণ দিয়ে, দ্রুত ৭টি বিধানসভা কেন্দ্রে ভোটের দাবি জানায় তৃণমূল। তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেছিলেন, ১৫ই জুলাই নির্বাচন কমিশনের কাছে গিয়েছিলেন দলের প্রতিনিধিরা। সেই লক্ষ্যে কাজ কতটা এগোল এবং সাংবিধানিক নিয়ম মেনে নির্বাচন করার প্রচেষ্টার কথা সিইও-কে জানানো হয়েছে। তিনি জানিয়েছিলেন, সিইও দফতরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, এ ব্যাপারে এগোচ্ছে কাজ।
প্রসঙ্গত, রাজ্যের যে পাঁচ কেন্দ্রে উপনির্বাচন ও দুই বিধানসভা কেন্দ্রে ভোট বাকি, তার মধ্যে রয়েছে নদীয়ার শান্তিপুর ও কোচবিহারের দিনহাটা। এই দুই কেন্দ্রের বিজেপি বিধায়করা পদত্যাগ করেছেন। অন্যদিকে পদত্যাগ করেছেন দক্ষিণ কলকাতার ভবানীপুরের জয়ী তৃণমূল প্রার্থী। উত্তর ২৪ পরগনার খড়দা ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার গোসাবার জয়ী প্রার্থীর মৃত্যু হয়েছে।ফলে এই পাঁচটি কেন্দ্রেই উপনির্বাচন হওয়ার কথা। এছাড়াও নির্বাচনের আগে প্রার্থীর মৃত্যু হওয়ায়, ভোট বাকি রয়েছে মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জ এবং জঙ্গিপুর বিধানসভা কেন্দ্রে।