একুশের ভোটযুদ্ধে বাংলায় পর্যুদস্ত হতে হয়েছে তাঁকে এবং তাঁর দলকে। সামনেই উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচন। কিন্তু যোগী রাজ্যে কুর্সি ধরে রাখাই এখন বড়সড় চ্যালেঞ্জ হিলয়ে উঠেছে। এই পরিস্থিতিতে কি নরেন্দ্র মোদী এবং বিজেপি শঙ্কিত? তাই কি আগামী বছর পাঁচ রাজ্যে বিধানসভা ভোটের ময়দানে নামার আগে ঘটা করে জনপ্রিয়তা যাচাই করতে হচ্ছে? জনমত সমীক্ষার স্ক্যানারে শুধু কেন্দ্রীয় সরকার বা বিজেপি শাসিত রাজ্যই নয়, রয়েছেন স্বয়ং নরেন্দ্র মোদী। তাঁরও জনপ্রিয়তা যাচাই করতে হচ্ছে সরকারকে। আর দেশজুড়ে এই সমীক্ষা হতে চলেছে নরেন্দ্র মোদীর নামাঙ্কিত ‘নমো অ্যাপের’ মাধ্যমে।
বিগত কয়েক বছরে মোদী সরকারের বেশ কিছু প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত এবং সমস্যা মোকাবিলায় সরকারের ভূমিকা— দেশবাসীর থেকে তারই ফিডব্যাক জানতে চান প্রধানমন্ত্রী। বিশেষ করে ভোট হতে চলা রাজ্যগুলিকেই এক্ষেত্রে টার্গেট করা হয়েছে। কয়েকটি স্তরে একঝাঁক প্রশ্ন তৈরি করেছে মোদী সরকার। নমো অ্যাপে যে কোনও নাগরিক এই প্রশ্নগুলির জবাব দিতে পারেন। তবে সে জন্য ওই অ্যাপ স্মার্টফোনে ডাউনলোড করতে হবে। কোন কোন ইস্যুকে সামনে রেখে আগামী বিধানসভা ভোটে আপনি ভোট দেবেন? ১) কোভিড মোকাবিলা ২) শিক্ষা ৩) আইন-শৃঙ্খলা ৪) কর্মসংস্থান ৫) পরিচ্ছন্নতা ৬) মূল্যবৃদ্ধি ৭) দুর্নীতি ৮) কৃষক ইস্যু।
উত্তরপ্রদেশ বিজেপির কাছে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ একটি রাজ্য। আর সেখানে তারা পুনরায় জয়ী হতে মরিয়া। কাজেই ওই রাজ্যে রামমন্দির ইস্যুকে কতটা গুরুত্বপূর্ণ বলে ভোটাররা মনে করেন, সেই প্রশ্নও রাখা হচ্ছে সমীক্ষায়। শুধু তাই নয়, তিন তালাক, জম্মু-কাশ্মীরের ৩৭০ নম্বর অনুচ্ছেদ নিয়েও সাধারণ মানুষের মনোভাব জানতে চান মোদী। যে পাঁচ রাজ্যে ভোট আসন্ন, সেখানে মানুষের কাছে সংশ্লিষ্ট রাজ্য সরকারগুলির পারফরম্যান্স এবং কেন্দ্রীয় সরকারের কাজের সাফল্য বা ব্যর্থতা নিয়ে মানুষের মতামত কী? সেটাও জানতে চায় মোদী সরকার।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জানতে চান, ‘দেশের জন্য’ সামগ্রিকভাবে নেওয়া তাঁর যাবতীয় সিদ্ধান্ত মানুষ কীভাবে দেখছেন। আরও স্পষ্টভাবে বলতে গেলে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তাঁর পারফরম্যান্স কেমন, সেটাই আসল জিজ্ঞাস্য। অর্থাৎ বিষয়টা পরিষ্কার, মোদী আসলে জানতে চাইছেন, স্থানীয় সমস্যাকে ছাপিয়ে তাঁর ব্যক্তিগত জনপ্রিয়তা মানুষের কাছে কতটা বেশি তৎপর্যপূর্ণ। কারণ গোটা দেশজুড়ে তিনিই বিজেপির মুখ। তাঁর জনপ্রিয়তায় ভাটা পড়লে তার প্রভাব পড়বে দলের ভোটব্যাঙ্কেও। ফলে উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচন এবং চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনের আগে মোদীর জনপ্রিয়তা দেখে নিতে চাইছে গেরুয়া শিবির