পেগাসাস বিতর্কের কেন্দ্রে থাকা ইজরায়েলের এনএসও গ্রুপের সঙ্গে তাদের কোনও লেনদন, আদানপ্রদান হয়নি বলে গতকালই জানিয়ে দিয়েছে প্রতিরক্ষামন্ত্রক। ভারত সহ বিশ্বের একাধিক দেশে বিরোধী রাজনৈতিক নেতানেত্রী, সাংবাদিক, সমাজকর্মী বিচারক সহ সাধারণ মানুষের ফোনেও পেগাসাস সফটওয়্যার ব্যবহার করে আড়িপাতার অভিযোগে আলোড়ন উঠেছে। তাকে কেন্দ্র করে ইজরায়েলি নজরদারি চালানোর সফটওয়্যার কোম্পানি এনএসও-কে নিশানা করছে সকলে।
কারণ পেগাসাস অ্যাপ বানিয়েছে তারাই। দেশের রাজনৈতিক মহলে বিরোধীরা বারবার জানতে চাইছে, মোদী সরকার কি এনএসও-র কাছ থেকে ওই অ্যাপ কিনেছে? এ ব্যাপারেই সোমবার প্রতিরক্ষা রাষ্ট্রমন্ত্রী অজয় ভট্ট রাজ্যসভায় প্রশ্নের উত্তরে জানিয়ে দেন, প্রতিরক্ষামন্ত্রকের সঙ্গে এনএসও গ্রুপ টেকনোলজিসের কোনও লেনদেনই হয়নি।
একটি আন্তর্জাতিক মিডিয়া কনসর্টিয়াম সম্প্রতি জানিয়েছে, কংগ্রেস নেতা রাহুল গাঁধী, প্রহ্লাদ সিং পটেল, অশ্বিনী বৈষ্ণবের মতো কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের, শিল্পপতি অনিল অম্বানি ও অন্তত ৪০ জন সাংবাদিক সহ ৩০০-র বেশি বৈধ ভারতীয় মোবাইল ফোন নম্বরকে আড়িপাতার জন্য টার্গেট করা হয়েছে। ইজরায়েলি এনএসও গ্রুপের তৈরি পেগাসাস নজরদারি সফটওয়্যারের সাহায্যে ওই ফোনগুলিতে চরবৃত্তি চালানো হয়েছে। সরকার যাবতীয় অভিযোগ, আশঙ্কা অস্বীকার করলেও বিরোধীরা সংসদ অচল করে রেখেছে। তাদের দাবি, এ নিয়ে পূর্ণাঙ্গ আলোচনা চাই।
শীর্ষ কংগ্রেস নেতা তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পি চিদম্বরম সরাসরি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর জবাব দাবি করলেন। চিদম্বরমের ট্যুইট, প্রতিরক্ষামন্ত্রক ইজরায়েলের এনএসও গোষ্ঠীর সঙ্গে কোনওরকম ডিলের জল্পনা থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছে। মন্ত্রক ঠিক বলছে ধরে নেওয়া হলেও বাকি আধডজন সন্দেহভাজনদের ব্যাপারে কী বলা যায়? একমাত্র প্রধানমন্ত্রীই সব মন্ত্রক বা দপ্তরের হয়ে জবাব দিতে পারেন। কিন্তু তিনি কেন চুপ করে আছেন?