কাউকে ভোটপ্রার্থী করলে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সেই দলকে জানাতে হবে তাঁর কোনও ক্রিমিনাল রেকর্ড আছে কিনা। মঙ্গলবার এমনই নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। রাজনীতিতে অপরাধ-যোগ কমাতে এই গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশ শীর্ষ আদালতের। ২০২০ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি এই সংক্রান্ত যে নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট, সেই নির্দেশকে কিছুটা পরিবর্তন করে একথা জানাল বিচারপতি আরএফ নরিম্যান ও বিআর গাভাইয়ের বেঞ্চ।
বিহার বিধানসভা নির্বাচনের আগে গত বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছিল, কেউ প্রার্থী মনোনীত হওয়ার পর ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে অথবা মনোনয়পত্র জমা দেওয়ার ২ সপ্তাহ আগেই এই সংক্রান্ত বিশদ বিবরণ জানিয়ে দিতে হবে। এবার শীর্ষ আদালত জানিয়ে দিল, প্রার্থী মনোনয়নের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই সব জানাতে হবে।
এই নির্দেশ দেওয়ার সময়ই বিচারপতিরা বলেন, ‘রাজনীতিতে অপরাধীদের সংখ্যা আশঙ্কাজনক ভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে’। জানিয়ে দেন, ”গত চারটি সাধারণ নির্বাচনের দিকে তাকালে দেখা যাচ্ছে রাজনীতিতে অপরাধীদের সংখ্যা আশঙ্কাজনক ভাবে বেড়েছে। ২০০৪ সালে যেখানে ২৪ শতাংশ সাংসদের নামে অপরাধের মামলা ছিল সেখানে ২০০৯ সালে তা বেড়ে হয় ৩০ শতাংশ। ২০১৪ সালে সেটা দাঁড়ায় ৩৪ শতাংশে। ২০১৯ সালে তা হয় ৪৩ শতাংশ।”
অপরাধীদের রাজনীতিতে যোগদান নিয়ে বিতর্ক আজকের নয়। এই পরিস্থিতিতে সুপ্রিম কোর্টের এমন নির্দেশকে গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। ২০২০ সালেই শীর্ষ আদালত জানিয়েছিল, সমস্ত রাজনৈতিক দলকে নিজেদের ওয়েবসাইটে এবিষয়ে জানাতে হবে। এছাড়াও দলীয় প্রার্থীদের অপরাধ-যোগ সংক্রান্ত তথ্য পেশ করতে হবে অন্তত দু’টি সংবাদপত্রে। কেবল তাই নয়, সংবাদপত্রগুলিকে হতে হবে বহুল প্রচলিত। যে কোনও সংবাদপত্রে তা জানালে হবে না।