বাংলায় একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে ব্যাপক জনপ্রিয় হয়েছিল ‘বাংলা নিজের মেয়েকে চায়’ স্লোগান। পাশাপাশি ঝড় তুলেছিল, ‘খেলা হবে’ স্লোগানও। জাতীয়স্তরে রাজনীতিতেও ‘খেলা হবে’ স্লোগানকে হাতিয়ার করছে তৃণমূল। ইতিমধ্যেই ত্রিপুরার জন্য নতুন স্লোগান বানিয়ে ফেলেছে ঘাসফুল শিবির। সোমবারের সাংবাদিক বৈঠকে সে কথা জানিয়েছেন তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষ। ত্রিপুরায় তৃণমূলের নয়া স্লোগান ‘জিতবে ত্রিপুরা’। পরবর্তী সময় তৈরি হওয়া ফ্ল্যাগ, পোস্টার, ফেস্টুনে এই স্লোগান থাকবে বলেও তৃণমূল সূত্রে খবর। এ সম্পর্কে এদিনের সাংবাদিক বৈঠকে কুণাল ঘোষকে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, “এখন শুনছেন জিতবে ত্রিপুরা। দেড় বছর পর শুনবেন জিতল ত্রিপুরা।” ওয়াকিবহাল মহল বলছে, উত্তর পূর্বের বাঙালি অধ্যুষিত রাজ্যে জয়ের বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী তৃণমূল। তবে সেই জয়কে দলের নয়, রাজ্যের মানুষের জয় হিসেবে দেখাতে চাইছে ঘাসফুল শিবির। তাই এরকম স্লোগানের ব্যবহার।
উল্লেখ্য, ত্রিপুরা জয়ের লক্ষ্যে ইতিমধ্যেই ব্লু প্রিন্ট তৈরী করছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপি শাসিত রাজ্যজয়ের জন্য তাঁর প্রধান সেনাপতি দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর নেতৃত্বে কাজ করার জন্য পাঁচজনের উপর দায়িত্বভার দেওয়া হয়েছে। মন্ত্রী ব্রাত্য বসু, বিধায়ক মলয় ঘটক, দলের রাজ্য নেতা কুণাল ঘোষ, শ্রমিক নেতা ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় এবং প্রাক্তন বিধায়ক সমীর চক্রবর্তী – এই পাঁচজন ত্রিপুরায় নজর রাখবেন। প্রতি সপ্তাহে অন্তত একজন করে নেতা ত্রিপুরা সফরে যাবেন, সেখানকার সংগঠনকে চাঙ্গা করতে। আর অভিষেক নিজেও প্রতি মাসে যাবেন উত্তর-পূর্বের রাজ্যটিতে। এছাড়া রয়েছেন তৃণমূলের তিন যুব নেতা – দেবাংশু ভট্টাচার্য, জয়া দত্ত, সুদীপ রাহা। রাজ্যের ৮টি জোনের দায়িত্ব ভাগ করে দেওয়া হয়েছে তিনজনকে। ত্রিপুরার শাসকদলের একাধিক বাধা ও হামলা সত্ত্বেও তাঁরা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।