গত সপ্তাহ থেকেই শহরে শুরু হয়েছে কোভিশিল্ডের আকাল। কলকাতা পুরসভার টিকা কেন্দ্রগুলিতে কোভিশিল্ডের ভাঁড়ার প্রায় শূন্য বললেই চলে। যে কারণে পুরসভার ১০০ টির বেশি টিকাকেন্দ্রে এই মুহূর্তে কোভিশিল্ড দেওয়ার কাজ প্রায় বন্ধ। এই পরিস্থিতির জন্য ঘুরিয়ে পুরসভার ভুল নীতিকেই কাঠগড়ায় তুলেছে স্বাস্থ্যভবন। অপরিকল্পিত টিকাদানের কারণেই এই অবস্থা তৈরি হয়েছে বলে মনে করছেন স্বাস্থ্য কর্তাদের একাংশ। পুরসভার প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম যদিও ভ্যাকসিন সঙ্কটের জন্য কেন্দ্রীয় সরকারকেই দায়ী করেছেন।
টিকা নিয়ে টানাটানির অবস্থা তৈরি হওয়ার নেপথ্যে কেন্দ্রের ভূমিকাকেই দায়ী করেন ফিরহাদ। তাঁর কথায়, “কেন্দ্রীয় সরকার পাপ করছে। মানুষকে বিভ্রান্ত করছে। বাংলাকে বঞ্চিত করছে ভ্যাকসিন থেকে। মানুষের জীবন নিয়েও রাজনীতি করছে। এই ধরনের পাপ আগে কোনও সরকার করেনি যেটা কেন্দ্রীয় সরকার করছে। বারবার করে মুখ্যমন্ত্রী চিঠি দিচ্ছেন যে জনসংখ্যা অনুযায়ী ভ্যাকসিন দিন। তারপরও ভিক্ষার মতো আজ কিছু, কাল কিছু ভ্যাকসিন পাঠানো হচ্ছে।”
গত কয়েকদিন যাবৎ কলকাতা পুরসভায় কোভিশিল্ডের টিকাকরণ বন্ধ থাকার পর সোমবার কয়েকটি কেন্দ্রে তা দেওয়া হচ্ছে। কারণ শনিবার অল্প কিছু ডোজ এসে রাজ্যে পৌঁছেছিল। তবে মঙ্গলবার থেকে ফের কোভিশিল্ড দেওয়া বন্ধ হয়ে যাবে। এর কারণ হিসেবে টিকার অপ্রতুল সরবরাহের কথাই উঠে এসেছে।
কলকাতায় ঠিক কবে থেকে স্বাভাবিকভাবে কোভিশিল্ড দেওয়া যাবে, সেটাও তিনি বলতে পারবেন না বলেই জানিয়েছেন পুরসভার প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম। একই সঙ্গে তাঁর সংযোজন, ১১ অগস্টের আগে বড় মাত্রায় কোভিশিল্ড আসার সম্ভাবনা নেই শহরে। তাই বড় মাত্রায় কোভিশিল্ড না এলে টিকাকরণ প্রক্রিয়া স্বাভাবিক হওয়ার কোনও আশাও নেই বলে জানিয়েছেন তিনি।