ত্রিপুরায় হামলার প্রতিবাদে সোমবার সংসদে গান্ধী মূর্তির পাদদেশে প্ল্যাকার্ড হাতে বিক্ষোভে নামল তৃণমূল। স্লোগান উঠল, ‘দেশের নেত্রী কে, মমতা ব্যানার্জী আবার কে’, আবার উল্টো স্লোগান, ‘দেশের গুণ্ডা কে, নরেন্দ্র মোদী আবার কে?’ তবে, শুধু গান্ধীমূর্তির পাদদেশেই নয়, সংসদের ভিতরেও এ নিয়ে তৃণমূল সরব হবেন বলেই জানা গিয়েছে।
গত সোমবার ত্রিপুরায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের গাড়ির উপর বিজেপির হামলার প্রতিবাদে যা হয়নি, ১৪ জন তৃণমূল নেতাকে ত্রিপুরায় গ্রেফতার ও তাঁদের উপর হামলার প্রতিবাদে এবার সেই পথেই হাঁটছে এ রাজ্যের শাসক দল। শনি ও রবিবার মিলে ত্রিপুরায় যা ঘটছে, তার বিরুদ্ধে সোমবার থেকেই সংসদে সুর চড়ানো শুরু করেন তৃণমূল সাংসদরা। ত্রিপুরা থেকে গতকালই দলের সমস্ত সাংসদকে এমনই নির্দেশ দিয়েছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
জানা গিয়েছে, সোমবার রাতেই দিল্লীতে যাচ্ছেন অভিষেক। পেগাসাসের পাশাপাশি ত্রিপুরা ইস্যুতে সংসদের ধর্ণায় উপস্থিত থাকবেন অভিষেক নিজেও। তবে, তিনি মঙ্গলবার সেখানে উপস্থিত থাকবেন বলে জানা গিয়েছে। চলতি বাদল অধিবেশনে পেগাসাস ইস্যুতে যেভাবে নাছোড় আন্দোলন চালাচ্ছে তৃণমূল, এবার সেই তালিকায় যোগ হতে চলেছে ত্রিপুরা কাণ্ডও।
তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় বলেন, ‘ত্রিপুরায় ন্যক্কারজনক ঘটনা ঘটছে। গণতন্ত্র বলে কিছুই নেই সে রাজ্যে। আমরা এর শেষ দেখে ছাড়ব। আমাদের যুব নেতাদের উপর যেভাবে হামলা হয়েছে, তারপরও তাঁদের যেভাবে গ্রেফতার করা হয়েছে, তা গণতন্ত্রের অপমান।’ অর্থাৎ, একটা বিষয় স্পষ্ট, পেগাসাস ইস্যুতে যেভাবে বাকি বিরোধীদের পিছনে ফেলে প্রচারের আলো কেড়ে নিয়েছিল তৃণমূল, ত্রিপুরা ইস্যু নিয়েও এবার গোটা দেশের নজর টানতে প্রস্তুত হচ্ছে তাঁরা। আর সংসদে তাঁদের নেতৃত্ব যে দেবেন অভিষেকই, তা নিয়ে কোনও সংশয় নেই।