নির্বাচনের পর থেকেই রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন উঠছিল। এই পরিস্থিতিতে শুক্রবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করলেন রাজীব। প্রায় ৩০ মিনিট তৃণমূল সাংসদের ক্যামাক স্ট্রিটের অফিসে বৈঠক করেন তাঁরা। এতেই রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিজেপি থেকে তৃণমূলে ফেরার জল্পনা আরও বেড়েছে। রাজনৈতিক শিবির বদলের পর একুশের ভোটে হারের ধাক্কা সামলাতে খানিক সময় লেগেছিল। সেই সময়ের মধ্যে ফের পুরোনো দল তৃণমূলের কাছে ঘেঁষতে দেখা গিয়েছিল রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে।
বারবার দলের বিরুদ্ধে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর প্রশংসা করে ফেসবুক পোস্ট, কখনও বা তৃণমূলের হেভিওয়েট নেতাদের সঙ্গে তাঁর সৌজন্য সাক্ষাৎ, আরও গুঞ্জন বাড়াচ্ছিল রাজনৈতিক মহলে। মনে করা হচ্ছিল, পুরনো দলে ফেরার জমি শক্ত করতে চাইছেন বোধহয় রাজীব। অন্যদিকে, গেরুয়া শিবিরের সঙ্গেও দূরত্ব বাড়াচ্ছিলেন তিনি। প্রকাশ্যে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে আক্রমণও করেছিলেন। যা উসকে দিয়েছিল রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলবদলের জল্পনা। যদিও এনিয়ে কোনওদিনই মুখ খোলেননি তিনি।
শুক্রবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ক্যামাক স্ট্রিটের অফিসে হাজির হন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রায় ৩০ মিনিট সেখানে ছিলেন তিনি। বৈঠক করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে। তবে কি জল্পনা সত্যি করে শীঘ্রই ঘাসফুল শিবিরে ফিরবেন রাজীব? এখন এই প্রশ্নই ঘুরছে সকলের মনে। এবিষয়ে তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ ইঙ্গিতে বুঝিয়েছেন বৈঠকের বিষয়টি তিনি জানতেন। এদিন ফের রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলবদলের সিদ্ধান্তের সমালোচনাও করেন তিনি। সাফ বলেন, রাজীবের বিজেপিতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত ভুল ছিল। যদিও এবিষয়ে এখনও রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।