ভোট প্রচার-পর্বে বিজেপি-বিরোধিতায় তাদের ঘাটতি ছিল বলে আগেই মেনে নিয়েছিল সিপিএম। পাশাপাশি দলের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্রও সরাসরি কবুল করেছিলেন যে, ‘বিজেমূল’-এর মতো স্লোগান ব্যবহার করা ভুল হয়েছিল। বিজেপি ও তৃণমূলের মধ্যে বোঝাপড়া বোঝাতে সভা-সমাবেশে এমন কিছু কথা ও স্লোগান সিপিএমের বিভিন্ন স্তরের নেতৃত্বের মুখে শোনা গিয়েছিল, যার সঙ্গে বাস্তব পরিস্থিতির যোগ নেই। বরং ওই ধরনের প্রচার ‘জনমানসে’ বিভ্রান্তি তৈরি করেছিল।তবে এবার ঢাকঢাক-গুড়গুড় নয়। বিজেপি ও তৃণমূলকে একই সারিতে বসিয়ে ‘বিজেমূল’ বলাটা ভুল হয়েছিল। প্রকাশ্যে ঘরভরতি লোকের সামনে তা স্বীকার করে নিলেন আলিমুদ্দিনের ভোট ম্যানেজাররা।
বৃহস্পতিবার পার্টির প্রতিষ্ঠাতা মুজফফর আহমেদের জন্মদিনের মঞ্চে এই প্রসঙ্গে সূর্যকান্তর স্পষ্ট স্বীকারোক্তি, ‘বিজেপি ও তৃণমূলকে একই চোখে আমরা দেখি না। ‘বিজেমূল’ শব্দবন্ধটা ভুল ছিল।’ উল্লেখ্য, যেভাবে সাতের দশকে জরুরি অবস্থার সময় কংগ্রেস ও নকশালদের এক করে বামেরা ‘কংশাল’ তকমা দিয়েছিল, তেমনই এবার বিজেপি ও তৃণমূলকে একই বন্ধনীতে ‘বিজেমূল’ বলা হয়েছে। তবে দুটো দল যে আলাদা এবার তাও স্পষ্ট করে দিয়েছেন পার্টির রাজ্য সম্পাদক। তিনি বলেন, ‘বিজেপি ও তৃণমূলকে আমরা কখনই এক করে দেখিনি। কখনও এক করা হয়নি।’ ভুলের দায় স্বীকারের পাশাপাশি লক্ষ্যনীয়ভাবে সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিজেপি বিরোধী জোটপ্রয়াসকে সাধুবাদ জানিয়েছেন তিনি। আর তাতেই রাজনৈতিক মহলে চর্চা আরও জোরদার হয়েছে। আলিমুদ্দিনের এই ঠকে শেখাকে বিলম্বিত বোধোদয় বলছেন অনেকেই।