ডায়মন্ড হারবার মিউনিসিপালিটির ১০০ শতাংশ বাসিন্দাই প্রথম টিকা পেয়ে গিয়েছেন। দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছেন কমপক্ষে ৯০ শতাংশ মানুষ। সূত্রের খবর, সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৎপরতায় যে কাজ ডায়মন্ডহারবার মিউনিসিপালিটি করে দেখিয়েছে তা গোটা বাংলার সাপেক্ষেই রেকর্ড শুধু প্রতিটি ওয়ার্ডের স্বাস্থ্যকেন্দ্রে রটিনমাফিক টিকাকরণই নয়, এই মিউনিসিপ্যালিটিতে ওয়ার্ড ধরে গণনা করে স্বাস্থ্যকর্মীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভ্যাকসিন দিয়ে এসেছেন বৃদ্ধদেরও। ‘দুয়ারে আমরা’ নামক প্রকল্পের এ হেন সাফল্যে এখন কার্যত কাঁধ চওড়া হচ্ছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের।
গত একমাস প্রতিদিন প্রতিটি কেন্দ্রে টিকাকরণ চলেছে এই মিউনিসিপালিটিতে। স্থানীয় টিএমসি নেতা অরুময় গায়েন বলছেন, ‘কুড়ি দিন আগে আমাদের এই প্রকল্প শুরু হয়েছিল। আমরা এখানে ভ্যাকসিন অন হুইলস চালু করে দিয়েছি। টোটোয় করে আমাদের মিউনিসিপ্যালিটির অন্তর্গত প্রতিটি ওয়ার্ডে প্রবীণদের জন্য ভ্যাকসিন পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে’। ভ্যাকসিন দিতে যাচ্ছেন ডাক্তার, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মীরা।
স্থানীয় বাসিন্দা রমা চক্রবর্তী বলছিলেন, ‘আমার শ্বাশুড়ি ভীষণ অসুস্থ, চলাফেরা করতে পারেন না। মিউনিসিপ্যালিটির সহায়তায় তিনিও টিকা পেলেন’। এভাবেই কমবয়সী এবং বয়স্ক সব স্তরেই টিকাকরণ চালিয়ে নজির সৃষ্টি করা হয়েছে দুয়ারে আমরা প্রকল্পটির মাধ্যমে। স্বাভাবিক ভাবেই, দক্ষিণ ২৪ পরগনার অন্যান্য এলাকাতেও এই প্রকল্প চালু করবে মিউনিসিপালিটিগুলি। স্থানীয় বিধায়ক পান্নালাল হালদার বলেন, ‘১০০% ভ্যাকসিন দিয়েছি। পুরোদমে কাজ করছে ভ্যাকসিন অন হুইলস। বাহুল্য এই প্রকল্পটি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মস্তিষ্কপ্রসূত। আমরা এখানে সফল ভাবে কাজ করতে পেরেছি। ভবিষ্যতে অন্যান্য এলাকা আমাদেরই অনুকরণ করবে।
টিকাকেন্দ্রে লাইন দিয়ে যেমন ভ্যাকসিন দেওয়া হবে তেমনি যাঁরা টিকাকেন্দ্রে পৌঁছতে পারছেন না ভ্যাকসিন নিয়ে পৌঁছতে হবে তাদের কাছে। এই তত্ত্বকেই বাস্তবায়ন করে সত্যিই নজির সৃষ্টি করলেন অভিষেক। এখন দেখার গোটা বাংলা কত দ্রুত এই মডেল অনুসরণ করতে পারে।