যে দিল্লীতে শাহের নজরদারি চলে, সেখানেই একটি ৯ বছরের মেয়েকে ধর্ষণ করে, খুন করে তারপর জোর করে দেহ জ্বালিয়ে দেওয়া হল! আগেই রাজধানীতে ৯ বছরের মেয়েকে ধর্ষণ করে খুনের পর দেহ জ্বালিয়ে দেওয়ার ঘটনায় এই ভাষাতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে নঙ্গল গ্রামে গিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের ৩ সাংসদের এক প্রতিনিধি দল। প্রতিনিধি দলে থাকছেন ডঃ কাকলি ঘোষ দস্তিদার, মৌসম নুর ও শান্তা ছেত্রি।
প্রসঙ্গত, গত ১ লা আগস্ট রবিবার দিল্লীর ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় ওই দলিত নাবালিকাকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়। অভিযোগের আঙুল ওঠে শ্মশানের প্রধান পুরোহিত রাধেশ্যাম ও তাঁর সঙ্গীদের বিরুদ্ধে। জানা গিয়েছে, সন্ধ্যা সাড়ে পাঁচটার সময়ে মাকে বলে শ্মশানযাত্রীদের জন্য বসানো কুলার থেকে জল ভরতে গিয়েছিল ৯ বছরের মেয়েটি। বেশ কিছুক্ষণ পরেও সে না-ফেরায় চিন্তা করছেলিন মা। এর পরে শ্মশানের পুরোহিত রাধেশ্যাম কয়েক জন লোককে দিয়ে ডেকে পাঠান মাকে। মেয়েটির দেহ দেখিয়ে বলেন, কুলার থেকে বিদ্যুতের ছোবল খেয়ে মারা গিয়েছে সে। পুরোহিত তাঁকে বলেন, ময়নাতদন্তের সময় শরীর থেকে অঙ্গ চুরি করে নেওয়া হয়। তাই কোনওভাবে পুলিশকে না জানিয়ে দেহ দাহ করে দেওয়ার জন্য পরিবারের উপর চাপ দেওয়া হতে থাকে। এবং একপ্রকার জোর করেই দেহটি দাহ করে দেওয়া হয়।
মেয়েটির মা জানান, এর পরে কাঁদতে কাঁদতে বাড়ি ফেরেন তিনি। মেয়েটির বাবাকে ডাকেন। কিন্তু তাঁদের না-জানিয়ে মেয়েটির দেহ ওই শ্মশানেই পুড়িয়ে দেন ওই পুরোহিত ও তাঁর সঙ্গীরা। এরপর বাবা-মা চেঁচামেচি করে লোক জড়ো করেন। প্রমাণ লোপাটের জন্য তাঁদের না-জানিয়ে তড়িঘড়ি দেহ পুড়িয়ে দেওয়া নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। মেয়েটির মা আরও জানিয়েছেন, মেয়ের ডান হাতের কব্জি থেকে কনুই পর্যন্ত পোড়া দাগ ছিল। ঠোঁটও নীল হয়ে গিয়েছিল। গত ৩ রা আগস্ট এই ইস্যু নিয়ে প্রথম সরব হন অভিষেক। গতকাল তিনি রাজধানীর আইনশৃঙ্খলার দায়িত্বে থাকা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বিরুদ্ধে তোপ দেগে টুইট করে বলেন, ‘দেশের রাজধানীতে, একটি নয় বছরের মেয়েকে ধর্ষণ করে, জোর করে দাহ করে দেওয়া হয়েছে। এদেশের তফশিলি উপজাতির মেয়েদের প্রতিদিন যে ধরনের অভিজ্ঞতার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়, তাতে বোঝা যায় আমাদের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সত্যিই কতটা অসংবেদনশীল।’