রাষ্ট্রায়ত্ত বিমা সংস্থায় কেন্দ্রের মালিকানা ৫১ শতাংশের নীচে নামিয়ে আনতে সংসদে সাধারণ বিমা ব্যবসা (জাতীয়করণ) আইনের সংশোধনী বিল পেশ করেছিলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ। যাতে সরকারি বিমা সংস্থায় কেন্দ্রীয় সরকারের অংশীদারিত্ব কমপক্ষে ৫১ শতাংশ রাখার শর্ত তুলে দেওয়া হয়েছে। ভবিষ্যতে সরকারের থেকে বেসরকারি সংস্থার হাতে বিমা সংস্থার নিয়ন্ত্রণ তুলে দেওয়ার পথও তৈরি করে দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই সংসদে ওই বিল পাশ হয়ে গিয়েছে। এবং তার প্রতিবাদে বুধবার সাধারণ বিমা ক্ষেত্রে ধর্মঘট ডেকেছে ১৮টি কর্মী ইউনিয়ন। কলকাতাতেও ন্যাশনাল ইনশিওরেন্সের সদর দফতরের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ দেখা গিয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত সোমবার পাশ হয় ওই বিল। রাষ্ট্রায়ত্ত সাধারণ বিমা সংস্থা বেসরকারিকরণের রাস্তা খুলে দেওয়া ওই বিলটি বিরোধীদের সঙ্গে কোনও রকম আলোচনা ছাড়াই পাশ করানো হয়েছে। ফলে বিলটি পাশ হওয়ার পর থেকেই বিরোধীরা প্রতিবাদ জানাতে শুরু করেছে। উল্লেখ্য, এবার বাদল অধিবেশনের শুরু থেকেই পেগাসাস কাণ্ডকে ঘিরে উত্তাল সংসদ। সেই সঙ্গে কৃষক আন্দোলনের মতো নানা ইস্যু ঘিরে বিরোধীদের প্রতিবাদ করতে দেখা গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে সোমবার লোকসভায় বিরোধীশূন্য অবস্থায় পাশ হয়ে যায় ওই বিল। বুধবার বিলটি রাজ্যসভায় পেশ হওয়ার কথা।
তবে এই বিল রাজ্যসভায় পাশ হবে কিনা তা নিয়ে উদ্বেগে বিজেপি। রাজ্যসভার ২৪২টি আসনের মধ্যে অন্তত ১২২ জন সাংসদের সমর্থন দরকার সরকারের। কিন্তু রাজ্যসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠ নয় গেরুয়া শিবির। আর সেই কারণেই বাড়ছে উদ্বেগ। অন্যদিকে, যে কর্মী ইউনিয়নগুলি ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে তার মধ্যে অন্যতম আরএসএস স্বীকৃত সংগঠনও। ধর্মঘটের ডাক দিয়ে সংগঠনগুলির তরফে অভিযোগ জানানো হয়েছে, এই বেসরকারিকরণের উদ্যোগ জাতীয় স্বার্থের পরিপন্থী। সোমবার বিল পাশের পরেই এই নিয়ে বৈঠকে বসে কর্মী ইউনিয়নগুলি। তখনই সিদ্ধান্ত পাক হয় ধর্মঘটের।