বাংলার মিষ্টি হিসাবে রসগোল্লা পায় জিআই তকমা। বাঙালির অতি প্রিয় রসগোল্লাই। প্রথম যে জিআই তকমা পেয়েছে। অর্থ্যাৎ জিওগ্রাফিকাল ইন্ডিকেশনের তকমা। তবে এ নিয়ে দড়ি টানাটানি কিছু কম হয়নি। মূলত রসগোল্লা কার এ প্রসঙ্গে যাবতীয় বিতর্ক বাসা বেঁধেছিল। ২০১৮ সাল নাগাদ ওড়িশা দাবি করেছিল রসগোল্লা আদপে তাদের রাজ্যেরই মিষ্টি। তবে তাদের যুক্তি ধোপে টেকেনি। শেষ পর্যন্ত বাংলার মিষ্টি হিসাবেই জিআই তকমা পায় রসগোল্লা। এবার জিআই তকমা পাওয়ার দৌড়ে নাম লিখিয়েছে কৃষ্ণনগরের সরভাজা ও নদিয়ার সরপুরিয়া। সূত্রের খবর এবার জিভে জল আনা বাংলার দুই মিষ্টিও জিআই তকমা পেতে চলেছে।
প্রসঙ্গত এর আগে রসগোল্লার মতোই বর্ধমানের সীতাভোগ ও মিহিদান ও জয়নগরের মোয়া জিআই তকমা পেয়েছে। তবে মিষ্টিপ্রেমীদের মতে, এই বাংলার সঙ্গে সরভাজা, সরপুরিয়ার সম্পর্ক বহুকালের। অনেকের মতে প্রায় ৫০০ বছর ধরে এই মিষ্টি প্রচলিত বাংলায়। তবে অনেকের মতে প্রায় ১৫০ বছর আগে অধরা দাস নামে এক মিষ্টি বিক্রেতা প্রথম এই মিষ্টি তৈরি করেন। তবে এই নিয়ে বিতর্ক যাই থাক না কেন এই দুই মিষ্টি যে বাংলারই সে ব্যাপারে নিশ্চিত অনেকেই। আর সেকারণেই কৃষ্ণনগরের মিষ্টি ব্যবসায়ীদের সংগঠন সরকারি সহযোগিতায় প্রথমে জিআই তকমার জন্য আবেদন করে। প্রাচীন পুঁথিতে এই মিষ্টির উল্লেখ রয়েছে বলে তাঁরা প্রমাণও দেখিয়েছেন।
আসলে বছর চারেক আগে থেকেই এই স্বীকৃতি আদায়ের উদ্যোগ শুরু হয়। সরভাজা ও সরপুরিয়ার জিআই তকমা পাওয়ার জন্য আবেদন করেছিল রাজ্য সরকার। এই নিয়ে কম কাঠখড় পোড়াতে হয়নি সরকারকে। কেন সরপুরিয়া ও সরভাজা বাংলারই আদি, অকৃত্রিম, অনন্য মিষ্টি তার প্রমাণও হাজির করতে হয় সরকারকে। ধাপে ধাপে সব পরীক্ষাতেই পাশ করেছে সরপুরিয়া ও সরভাজা। এবার শুধু আনুষ্ঠানিকভাবে তকমা পাওয়ার অপেক্ষা। আশা করা হচ্ছে পুজোর আগেই বাংলার মিষ্টিপ্রেমীদের জন্য এই সুখবর আসতে পারে।