গতকাল ত্রিপুরায় পৌঁছতেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের গাড়িতে লাঠি দিয়ে আঘাত করেন বিজেপি কর্মীরা। তাঁকে শুনতে হয়েছে ‘গো-ব্যাক স্লোগান’-ও। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক সেই ভিডিও নিজের টুইটার হ্যান্ডলে শেয়ার করতেই তা দেখে নিন্দার ঝড় ওঠে দেশজুড়ে। হামলার ঘটনাকে হাতিয়ার করেই বিপ্লব দেবের প্রশাসনকে একহাত নেন অভিষেক নিজেও। আর হামলার প্রতিবাদে রাতে রাস্তায় নামেন তৃণমূল কর্মীরা। টুইটারে সরব হন তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রীরা। রাজ্যসভাতেও বিষয়টি উত্থাপন করেন দলের সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন। কিন্তু এই ঘটনায় লক্ষ্যণীয়ভাবে মৌনব্রত ধারণ করেছেন এমন এক ব্যক্তি, যাঁর স্বভাবই হল পান থেকে চুন খসলে টুইট করা। হ্যাঁ, কথা হচ্ছে বাংলার রাজ্যপাল জগদীপ ধনকরের। তাঁর এই দ্বিচারিতা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন অনেকেই।
উল্লেখ্য, কয়েকমাস আগে বাংলায় নির্বাচনের প্রচার করতে এসে ডায়মন্ড হারবারে বিক্ষোভের মুখে পড়েন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। সেই সময় রাজ্যের প্রশাসনকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে একের পর এক টুইট করেছিলেন ধনকর। কিন্তু বাংলার এক সাংসদ যখন ত্রিপুরায় আক্রান্ত হলেন, তখন চুপ কেন রাজ্যপাল, উঠছে সেই প্রশ্ন। নেটিজেনরা সরাসরিই এই প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়েছেন ধনকরকে। নিরব রাজ্যপালকে কটাক্ষ করে বিভিন্ন মিম ছড়িয়ে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। প্রসঙ্গত, গতকাল অভিষেকের ওপর হামলার ঘটনার নিন্দা করে রাজ্যসভায় ডেরেক বলেন, ‘ত্রিপুরায় লোকসভার একজন সাংসদের ওপর হামলা হয়েছে। সরকার সব জায়গায় বিরোধীদের বাধা দেওয়ার চেষ্টা করছে।’ টুইটে মুকুল রায় বলেন, ‘ত্রিপুরায় তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের ওপরে হামলার ঘটনার তীব্র নিন্দা করছি।’ তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় টুইট করে বলেন, ‘ত্রিপুরায় গণতন্ত্র বিপন্ন। আমি অভিষেকের কনভয়ে হামলার ঘটনার নিন্দা করছি।’