রাজনীতিতে আর সক্রিয় ভূমিকায় না থাকলেও, সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দিচ্ছেন না। সোমবার রাতে বিজেপি সভাপতি জেপি নড্ডার সঙ্গে বৈঠকের পর জানিয়ে দিয়েছেন বাবুল সুপ্রিয়। আসানসোলের মানুষের প্রত্যাশার কথা মাথায় রেখেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন। তা নিয়ে ফের তাঁকে তীব্র কটাক্ষে বিঁধেছেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। মন্ত্রিত্ব হারিয়ে নরেন্দ্র মোদী এবং অমিত শাহের নজর টানতে তিনি ইস্তফা দেওয়ার ‘নাটক’ করছেন বলে আগেই দাবি করছিলেন কুণাল। বাবুলের সিদ্ধান্ত জানার পর মঙ্গলবার কুণালের টুইট, ‘নাটক ধরা পড়ে গিয়েছে। মুখরক্ষার চেষ্টা ব্যর্থ।’
নড্ডার সঙ্গে বৈঠক সেরে সোমবার রাতেই সাংসদ পদ ছাড়ছেন না বলে ফেসবুকে জানিয়ে দেন বাবুল। তা নিয়েই মঙ্গলবার সকালে টুইটারে বাবুলের উদ্দেশে কটাক্ষ ছুড়ে দেন কুণাল। এর আগে, সাংসদ পদ ছাড়ার কারণ জানাতে গিয়ে ফেসবুকে বাবুল লিখেছিলেন, যাঁরা তাঁর সঙ্গে ছিলেন, আগামী দিনেও থাকবেন। তবে এ বার আর কোনও ব্যবধান থাকবে না। কারণ সরকারি টাকায় যেমন সাধারণ মানুষের নিরাপত্তারক্ষী থাকে না, সাংসদ পদ ছাড়ার পর তাঁরও থাকবে না। তাতে মানুষের আরও কাছে পৌঁছে যেতে পারবেন তিনি।
বাবুলের এই মন্তব্য টেনেই মঙ্গলবার ফের বাবুলের উদ্দেশে তির্যক মন্তব্য ছুড়ে দেন কুণাল। তাঁর প্রশ্ন, খরচ নিয়ে যদি এতই চিন্তা, তা হলে সাংসদ হয়েও বিধানসভা নির্বাচনে দাঁড়ালেন কেন বাবুল? তিনি জিতলে তো সাংসদ পদে ফের নির্বাচন করাতে হতো? কেন্দ্রীয় সরকারের মন্ত্রিপদ আগেই খুইয়েছেন বাবুল। সাংসদ পদ ছাড়ার পর সরকারি বাংলোটিও ছেড়ে দেবেন বলে এর আগে জানিয়েছিলেন বাবুল। তাঁকে সেই কথাও মনে করিয়েছেন কুণাল। শুধু তাই নয়, সরকারের খরচ বাঁচাতে আগামী দিনে বাবুলকে বিমানের ইকনমি ক্লাসে যাতায়াতের পরামর্শও দিয়েছেন।