একুশের ভোটযুদ্ধে ভরাডুবির পর থেকেই গেরুয়া শিবিরে শুরু হয়েছে ভাঙন। দলে দলে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিচ্ছেন নেতা-কর্মীরা। যার ফলে বেজায় চাপে পড়েছে তারা। এবার নতুন করে অস্বস্তি বাড়ল তাদের। এবার পদ্মশিবিরে যোগ দেওয়ার কথাই বেমালুম অস্বীকার করলেন বর্ধমান পূর্বের সাংসদ সুনীল মণ্ডল। দলত্যাগ বিরোধী আইনে যখন তাঁর সাংসদ পদ খারিজে সক্রিয় হয়েছে তৃণমূল, ঠিক সেই সময়ই সুনীল দাবি করলেন, বিজেপিতে কখনও যোগই দেননি তিনি। আগেও তৃণমূলে ছিলেন, এখনও আছেন, আগামী দিনেও থাকবেন।
প্রসঙ্গত, বেশ কিছু দিন ধরেই তৃণমূল নেতৃত্বের দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিলেন সুনীল। বাংলায় বিজেপির পরাজয় ব্যাখ্যা করতে গিয়ে শুভেন্দু অধিকারী এবং বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে তীব্র আক্রমণ করেন তিনি। প্রস্তাব পেলে তৃণমূলে ফিরতে রাজি, এমন মন্তব্যও করেন। এরপর হঠাতই গত বৃহস্পতিবার দিল্লূতে মুকুল রায়ের বাড়িতে দেখা যায় তাঁকে। সেই নিয়ে জল্পনার মধ্যেই সোমবার সংসদে তৃণমূল সাংসদদের সঙ্গে একযোগে কেন্দ্রকে আক্রমণ করেন সুনীল। ফোনে আড়ি পাতা নিয়ে কেন্দ্রকে জবাব দিতে হবে বলে সকলের সঙ্গে ওয়েলে নেমে বিক্ষোভও দেখান।
এ নিয়ে সংবাদমাধ্যমে সুনীল বলেন, ‘আমি তো তৃণমূলেই আছি! কখনও পদত্যাগই করিনি। আমি তৃণমূলে ছিলাম, আছি এবং আগামী দিনেও থাকব। তৃণমূলের সকলের সঙ্গে কাজ করছি। পেগাসাস নিয়েও প্রতিবাদ জানিয়েছি। আমাদের নেত্রী তো দীর্ঘ দিন ধরেই এর বিরুদ্ধে সরব। এ ভাবে ফোনে আড়ি পাতার অর্থ ব্যক্তিগত সত্ত্বায় আঘাত হানা। কারও সঙ্গে ব্যক্তিগত কথা বলব, সুখ-দুঃখের ভাগ করে নেব, সেখানে নজরদারি চালানো চরম অন্যায় কাজ।’ তাঁর দাবি, ‘পুরোটাই ভুল বোঝাবুঝি। একটু মান-অভিমান হয়েছিল। ওসব আর নেই।’