পেগাসাস কাণ্ড নিয়ে সংসদের অভ্যন্তরে কেন্দ্রকে নিশানা করে চলেছে বিরোধীরা। তাদের স্লোগান, হই-হট্টগোলে প্রায় প্রত্যেকদিনই তোলপাড় হচ্ছে সংসদের দুই কক্ষই। এবার এই ইস্যুতে বিরোধীদের সঙ্গে সুর মেলালেন এনডিএ শরিক জেডিইউ-এর সুপ্রিমো নীতিশ কুমারও। তাঁরও দাবি, পেগাসাস স্পাইওয়ারের সাহায্যে ফোনে আড়ি পাতা নিয়ে তদন্ত করতে হবে। এই প্রথমবার এনডিএ-র কোনও শরিক দল পেগাসাস নিয়ে তদন্তের দাবি তুলল। স্বাভাবিকভাবেই এর ফলে অস্বস্তিতে পড়বে মোদী সরকার। নীতিশ বলেছেন, কাউকে হয়রান করার জন্য তাঁর ফোনে আড়ি পাতা উচিত নয়। সব কিছু প্রকাশ্যে জানানো উচিত।
প্রসঙ্গত, ফোনে আড়ি পাতার বিষয়টা প্রথম সামনে আসে যখন একটি ডেটাবেস লিক হয়ে যায়। তাতেই সরকার ও বিরোধী পক্ষের একাধিক নেতা-মন্ত্রী, সাংবাদিক, আমলা, মানবাধিকার কর্মী, আইনজীবী, শিল্পপতি সহ প্রায় ৩০০ জনের ফোন নম্বর লেখা ছিল। তা থেকেই সন্দেহ জাগে, তাহলে কি এইসব নম্বর হ্যাক করে ফোনে আড়ি পাতা হচ্ছে। এরপরই প্রশ্ন ওঠে, মোদী সরকারই কি আড়ি পাতার নির্দেশ দিয়েছিল? কারণ ইজরায়েলি সংস্থা এনএসও আগেই জানিয়েছে, তারা শুধুমাত্র বিভিন্ন দেশের সরকারকেই তাদের পেগাসাস স্পাইওয়্যার বিক্রি করে। বিভিন্ন দেশের নিরাপত্তা ও গোয়েন্দা সংস্থাই এই স্পাইওয়্যার কাজে লাগিয়ে ফোনে আড়ি পেতে থাকে।
এর আগে গত জুলাই মাসে বিজেপি সরকারের জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ নীতির বিরোধিতা করেছিলেন নীতিশ। আসাম ও উত্তরপ্রদেশে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে আইন করেছে রাজ্যের বিজেপি সরকার। কিন্তু নীতিশ স্পষ্ট জানিয়েছিলেন, তিনি মনে করেন, আইন করে জনসংখ্যা বৃদ্ধি ঠেকানো যায় না। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, আগামী দিনে নীতিশ কেন্দ্রের এনডিএ সরকারের বিরুদ্ধে আরও সুর চড়াবেন। এমনকী ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটের আগে তিনি ফের বিরোধীপক্ষে যোগ দিলেও আশ্চর্যের কিছু নেই।