সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর এই প্রথমবার ভিনরাজ্য সফরে এসেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রথম সফরে ত্রিপুরায় গিয়েই দফায়-দফায় বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয়েছে তাঁকে। এমনকী, হামলা হয়েছে তাঁর গাড়িতে। সোমবার সাংবাদিক সম্মেলনে করে সেই ঘটনার তীব্র নিন্দা করলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি জানিয়ে দিলেন, ‘আগামী দেড় বছরের মধ্যে ত্রিপুরায় উন্নয়নের সরকার গড়বে তৃণমূল। ধমকে চমকে লাভ হবে না। এসব তৃণমূলকে আরও তাতাবে’।
একুশের বঙ্গভোটে বিপুল জয়ের পরই জাতীয় রাজনীতিতে দলের গুরুত্ব বাড়াতে ঝাঁপিয়েছে তৃণমূল। সেই কর্মসূচিতে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করছেন অভিষেক। সেই দায়িত্ব পালন করতে ত্রিপুরায় এসেই সরকারের তীব্র সমালোচনা করলেন তিনি। তাঁর কথায়, ‘দিল্লী, গুজরাত থেকে এখানকার সরকার চলছে। এখানকার মানুষ কী চায়, তা তাঁরা বোঝে না। তাই তৃণমূলকে দেখে ভয় পাচ্ছে’। এর পরই তাঁর সাফ বার্তা, ‘ত্রিপুরায় দুয়ারে গুণ্ডা নয়, দুয়ারে সরকার পৌঁছে যাবে’।
তৃণমূল নেতৃত্ব এ রাজ্যে আসার আগেই আই প্যাকের সদস্যদের গৃহবন্দী করে রাখা হয়েছিল বলে অভিযোগ ওঠে। সেই ঘটনার তীব্র নিন্দা করে অভিষেক বলেন, ‘তৃণমূলের নেতারা এ রাজ্যে পা দেওয়ার আগেই এত জ্বলুনি কেন’? এর পরই তিনি বলেন, ‘২০১৬ সালেও আমি এ রাজ্যে এসেছি। তখন মানিকবাবুদের সরকার ছিল। কিন্তু রাজ্যের অবস্থা এতটা খারাপ ছিল না। রাজ্যবাসী নতুন দিনের স্বপ্ন দেখে বিজেপিকে ক্ষমতায় এনেছিল। কিন্তু তাঁরা বোঝেনি খাল কেটে কুমীর আনছে’।
এর পরই ত্রিপুরাবাসীকে প্রশ্ন ছুঁড়ে জেন অভিষেক। বলেন, ‘এ রাজ্যের ডবল ইঞ্জিন সরকার নাকি বাংলার সিঙ্গল ইঞ্জিন সরকার, কাকে বেছে নেবেন তাঁরা? আজই সিদ্ধান্ত নিতে হবে তাঁদের’। রাজ্যের বিজেপি সরকারকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে বললেন, ‘পারলে নিজের পায়ের তলার জমি বাঁচিয়ে দেখান’।