অতিসম্প্রতি সাংসদ তথা তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ত্রিপুরা সফরে গিয়েছেন। আর তা ঘিরেই উত্তপ্ত পরিস্থিতি ত্রিপুরায়। কালো পতাকা, গো ব্যাক স্লোগান তো ছিলই, অভিষেকের গাড়ির উপরও হামলা চালানো হল বাঁশ, লাঠি নিয়ে। অভিযোগের তির বিজেপির দিকে। উদয়পুরে মাতাবাড়ি এলাকায় অভিষেক পৌঁছনো মাত্রই তাঁকে দেখে ‘গো -ব্যাক’ স্লোগান দেয় বিজেপি কর্মীরা। দেখানো হয় কালো পতাকা। এমনকী বাঁশ দিয়ে তাঁর গাড়িতেও আঘাত করেন বিজেপি কর্মীরা। সেই হামলার ভিডিও নিজেই ট্যুইটারে তুলে দেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। আর তারপরই আসরে নেমেছেন তৃণমূল নেতা-নেত্রীরা। সেই তালিকার পুরোভাগে তৃণমূল যুব সভানেত্রী সায়নী ঘোষ। অভিষেকের গাড়িতে হামলার পরই ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব-কে নিশানা করেছেন সায়নী। ট্যুইটারে তিনি লিখেছেন, “বিপ্লব দেবের অতিথি দেব ভব-র উৎকৃষ্ট উদাহরণ হল ত্রিপুরায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় পৌঁছতেই তাঁর গাড়িতে হামলা। তিনি মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে বসেছেন ঠিকই, কিন্তু চারিত্রিকভাবে তিনি পরাজিতই। ত্রিপুরায় বিজেপি ভয় আর নিরাপত্তাহীনতায় যে ভুগছে, তা দেখা গেল।”
পাশাপাশি রাজ্যের মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়ও বলেন, “অভিষেকের গাড়িতে হামলা অত্যন্ত নিন্দনীয়। বিজেপি আসলে বুঝতে পারছে, এবার কঠিন হবে পরিস্থিতি। মানুষ ওদের প্রত্যাখ্যান করবে। এভাবে তৃণমূলকে আটকানো যাবে না। অভিষেক বা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ত্রিপুরা গেলে লক্ষ লক্ষ মানুষের ভিড় হবে। মানুষ চাইছে তৃণমূলকে।” তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষও বলেন, “ত্রিপুরায় গণতন্ত্রের অবস্থা দেখা গেল। ধিক্কার জানাই বিজেপিকে। ২০২৩-এ বিদায় ঘণ্টা শুনতে পাচ্ছে বিজেপি। তাই এভাবে হামলা চালিয়ে তৃণমূলকে আটকানোর চেষ্টা চলছে।” ডেরেক ও ব্রায়েন ট্যুইট করে লিখেছেন, “ত্রিপুরায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর হামলার ঘটনা রাজ্যসভায় তোলা হয়েছে। অমিত শাহ দয়া করে সংসদে আসুন, এবং কঠিন প্রশ্নের উত্তর দিন। এটা কি গণতন্ত্র?”