‘এবার ত্রিপুরা’ হ্যাশট্যাগকে সামনে রেখেই আজ থেকে ত্রিপুরায় ২০২৩ সালের বিধানসভা ভোটের জন্যে ঝাঁপাতে শুরু করল তৃণমূল কংগ্রেস। ইতিমধ্যেই অভিষেক বন্দোপাধ্যায়ের ছবি দিয়ে পোস্টার বানিয়ে প্রচার শুরু করে দিল ত্রিপুরা তৃণমূল কংগ্রেস। অনেক টালবাহানা, বিধিনিষেধকে দূরে সরিয়ে রেখে অবশেষে আজ দুপুরে ত্রিপুরায় পা রাখতে চলেছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। গত শনি ও রবিবার ত্রিপুরায় কঠোর করোনা বিধি-নিষেধ জারি থাকার কারণে সফর পিছিয়ে দিতে হয়েছিল অভিষেক বন্দোপাধ্যায়কে। অবশেষে আজ তিনি আসছেন আগরতলায়।
তৃণমূল সূত্রে খবর, আগরতলা বিমানবন্দর থেকে হেলিকপ্টারে অভিষেক উড়ে যাবেন বিখ্যাত মাথাবাড়ি মন্দিরে। কথিত আছে, ত্রিপুরার যে কোনও ভালো কাজ শুরু হয় মাথাবাড়িতে ত্রিপুরেশ্বরী দেবীর আশীর্বাদ নিয়ে। তাই এই রাজ্যে জাঁকিয়ে বসার আগে তৃণমূলও নতুন করে আবার যাত্রা শুরু করছে মাথাবাড়ি থেকেই। অবশ্য উদয়পুর, মাথাবাড়ি অঞ্চলে ইতিমধ্যেই একাধিক পরিবার যোগ দিয়েছেন তৃণমূলে। ত্রিপুরার নেতারা জানিয়েছেন, আজ দুপুর ১ঃ৩০ মিনিট নাগাদ স্থানীয় নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন অভিষেক বন্দোপাধ্যায়। নেবেন জেলা ভিত্তিক রিপোর্ট। সেই অনুযায়ী আগামী দিনে এগোনোর পরবর্তী নির্দেশ দেবেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক।
সূত্রের খবর, আই প্যাক কর্মীদের ত্রিপুরায় হোটেলবন্দী করে রাখার পর তৃণমূলের তরফে আর কোনও ঝুঁকি নিতে রাজি নন অভিষেক। তাই দলীয় নেতাকর্মীদের কোভিড প্রোটোকল মেনে চলারই নির্দেশ ইতিমধ্যেই দিয়েছেন তিনি। ত্রিপুরার সংগঠন পাকাপোক্ত করার জন্যে নতুন মুখও তুলে আনতে পারেন তিনি। তৃতীয় বার বাংলায় ক্ষমতায় আসা ও তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক পদে বসার পরই অভিষেক জানিয়ে দিয়েছিলেন, তৃণমূল ভিনরাজ্যে যেখানেই যাবে, শুধুমাত্র ভোট শতাংশ কাটার জন্য যাবে না। বরং সরকার গড়া বা সরকার গঠনে বড় ভূমিকা নিতেই যাবে তাঁরা। কিন্তু ত্রিপুরায় এখন থেকেই ক্ষমতা দখলের লড়াই শুরু করছে তৃণমূল।