এবাথ অনিল-কন্যা অজন্তা বিশ্বাসের হয়ে ময়দানে নামলেন কুণাল ঘোষ। তৃণমূল মুখপত্রে উত্তর সম্পাদকীয় লিখে সিপিএম রাজ্য নেতৃত্বের রোষানলে পড়েছেন প্রয়াত অনিল বিশ্বাসের মেয়ে অজন্তা। তাঁকে শোকজ করার পাশাপাশি, শনিবারকলকাতা জেলা কমিটির সম্পাদক কল্লোল মজুমদার প্রকাশ্যে নিন্দা করেছেন। এর জবাবেরবিবার সকালে টুইট করে তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল লেখেন, “যারা প্রয়াত অনিল বিশ্বাসকে টেনে অজন্তাকে কুৎসিত আক্রমণ করছে, তারা মনে রাখুক একাধিক সিপিএম ও বাম নেতা একাধিক কারণে তৃণমূলনেত্রীর সঙ্গে কথা বলেছেন। তাঁদের একান্ত ব্যক্তিগত অনুরোধও নেত্রী রক্ষা করেছেন। সেগুলো লেখা রুচিবিরুদ্ধ। কিন্তু বাধ্য করবেন না।”
এর আগে সিপিএমের রাজ্য কমিটির সদস্য কল্লোল বলেছিলেন, “আমার বিচারে সাধারণ ভাবে অত্যন্ত অসচেতন, অত্যন্ত খারাপ কাজ হিসেবে প্রতিভাত হওয়ার সুযোগ রয়েছে এই ঘটনায়। আমি অজন্তাকে পরামর্শ দিয়েছি, তোমার যা অবস্থান তা তুমি লিখিতভাবে পার্টিকে জানাও।” তিনি আরও বলেন, “দলের ভাবমূর্তি নষ্ট করা ও বামপন্থী মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি তৈরি করা তো দলীয় কর্মীর কাজ নয়। আমাদের দলে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য একটি পদ্ধতি অবলম্বন করা হয়। কারও বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ থাকলে, তাঁকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেওয়ার পরেই তার বিচার করে সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ করা হয়। সেই পদক্ষেপ আমরা ইতিমধ্যে করেছি।” তারপরেই কুণালের এমন টুইট যেন জবাব আলিমুদ্দিন ষ্ট্রিটকেই।
উল্লেখ্য, গত বুধবার তৃণমূলের মুখপত্রে অজন্তার ‘বঙ্গ রাজনীতিতে নারীশক্তি’ শীর্ষক বিশেষ নিবন্ধের প্রথম কিস্তি প্রকাশিত হয়। তার পরেই রাজ্য সিপিএমের অন্দরে আলোড়ন পড়ে যায়। শনিবার অজন্তার লেখায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশংসা ছিল। এর পরে অজন্তার বিরুদ্ধে রোষ আরও বাড়ে। শনিবারই অজন্তার একটি অডিয়ো-বার্তা প্রকাশ্যে আসে। সেই অডিয়ো ক্লিপের সত্যতা অবশ্য ‘এখন খবর’ যাচাই করেনি। সেখানে তৃণমূলের মুখপত্রে লেখা নিয়ে কোনও মন্তব্য না করলেও, কেন তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে লিখেছেন, তার ব্যাখ্যা দিয়েছেন অজন্তা।