নারী নির্যাতন থেকে খুন, ধর্ষণ— বারবারই সামনে এসেছে যোগী রাজ্যে নারী সুরক্ষার বেহাল দশার কথা। এবার ফের বিতর্কের শিরোনামে উত্তরপ্রদেশ৷ সেখানে মেরঠের স্বঘোষিত রাষ্ট্রীয় যুব হিন্দু বাহিনীর নেত্রী এক যুবতীকে ধর্ষণে নিজের ছেলে, এক আত্মীয়কে সাহায্য করেছেন! এবার এমনই অভিযোগ দায়ের করলেন ওই যুবতী। বেরিলির বাসিন্দা মেয়েটির দাবি, নেত্রীর মেরঠের পল্লবপুরমের বাড়িতে তাঁকে ধর্ষণ করা হয়। তিনি ঘটনাটি নেত্রীকে বললে তিনি নাকি মন্তব্য করেন, কিচ্ছু ভেবো না, এটা তো একশ গোদানের সমান!
ঘটনাটি ১৫ জুলাইয়ের। মাদক মেশানো পানীয় খাইয়ে তাঁকে ধর্ষণ, মারধরও করা হয়, গভীর রাতে নেত্রীর বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হয় বলে দাবি মেয়েটির।
নির্যাতিতা জানিয়েছেন, তিনি এফআইআর দায়ের করতে সক্ষম হন ২৮ জুলাই। কারণ ওই নেত্রী, অভিযুক্ত ধর্ষকরা তাঁকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়, এই বলে শাসায় যে, ধর্ষণের ভিডিও তোলা আছে, সেটা প্রকাশ করে দেবে, সে আর কাউকে মুখ দেখাতে পারবে না! যুবতীর মেডিকেল পরীক্ষা করা হয়েছে, যদিও এখনও কেউ গ্রেফতার হয়নি। প্রসঙ্গত, ২৪ বছরের মেয়েটি বেরিলির বাসিন্দা। মুসলিম। জানা গিয়েছে, তাঁর সঙ্গে জানাশোনা ছিল পল্লবপুরমের গ্রাম দুলহেদা চৌহানের বাসিন্দা নরেন্দ্র চৌহানের স্ত্রী মীনাক্ষী চৌহান ও তাঁর পরিবারের। যুবতী অভিযুক্ত করেছেন মীনাক্ষী, তাঁর ছেলে অনিকেত চৌহান, অজয় চৌহান নামে ওদের এক আত্মীয়কে।
এদিকে, ধর্ষণের পাশাপাশি তিনজনের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির অন্যান্য ধারাও যুক্ত করেছে পুলিশ। যুবতীর কৌঁসুলি সুমিত চৌধুরির বক্তব্য, অভিযোগ দায়ের হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই গ্রেফতারি হওয়া উচিত। কিন্তু অভিযুক্ত একজন প্রভাবশালী মহিলা, উঁচু মহলের সঙ্গে যোগাযোগ আছে। সোমবার ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে বিবৃতি দেওয়ার কথা মেয়েটির। এফআইআরে পল্লবপুরমের স্টেশন হাউস অফিসারের মীনাক্ষীর সঙ্গে ‘দহরম মহরমে’র কথাও উল্লেখ করেছেন তিনি। অভিযোগনামায় তিনি জানান, মীনাক্ষীর সঙ্গে তাঁর আলাপ পরিচয় ছিল, সেই সূত্রে তাঁদের বাড়িতে যাতায়াত ছিল তাঁর। মীনাক্ষী নিজেকে রাষ্ট্রীয় যুব হিন্দু বাহিনীর মহিলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক বলে পরিচয় দিতেন। সংবাদ মাধ্যমও খোঁজ নিয়েছে দেখেছে, সত্যিই মীনাক্ষী ওই সংগঠনের নেত্রী।