“জানতাম মেয়েটা অন্য ধাতুর। অলিম্পিক্স পদক দিব্যি জিততে পারে। লিখেওছিলাম।” লাভলিনা বরগোহাঁইকে নিয়ে এখন গর্বের শেষ নেই। উচ্চতা কাজে লাগিয়ে সরাসরি ঘুষি চালিয়ে, যে ভাবে চেন নিয়েনকে উড়িয়ে দিল, তার জন্য কোনও প্রশংসাই যথেষ্ট নয়। লাভলিনার মুখটা নির্লিপ্ত গোছের। কারও সাধ্য নেই, মনের কথা পড়ে ফেলবে। চেনও নিশ্চয়ই বোঝেনি, কী ভাবে ধেয়ে আসবে ঘুষির ঝড়।
“লাভলিনার পাখির চোখ ফাইনাল হওয়া উচিত। কেন ব্রোঞ্জে সন্তুষ্ট থাকবে। ওকে তৈরি করে দেওয়ার বড় দায়িত্ব কোচ আর ফিজিয়োর। ভারতে অলিম্পিক্স বক্সিংয়ে পদকজয়ীদের ক্লাবটা ছোট। আমি শুরু করেছিলাম। পরে এল মেরি কম।” এ বার লাভলিনাকে স্বাগত জানানোর সময়। তবে বক্সিং থেকে অমিত পঙ্ঘাল পদক আনলেও অবাক হব না। কোয়ার্টার ফাইনালে জিততে পারে পূজা রানিও।
প্রি-কোয়ার্টারে নাদিন আপেতজের বিরুদ্ধে আক্রমণে তাড়াহুড়ো করছিল। চেনের সঙ্গে যেটা আদৌ করেনি। মানছি, সেমিফাইনালে তুরস্কের বুসেনাজ সুরমেনেলি কঠিন ঠাঁই। বিশ্বচ্যাম্পিয়ন বলে কথা। তবু মন বলছে, ঠিকঠাক বিশ্রাম নিয়ে মেয়েটা তৈরি হয়েই নামবে।