গতকাল দিনভর প্রবল বৃষ্টির ফলে জলমগ্ন প্রায় গোটা কলকাতা। এই পরিস্থিতিতে এবার শহরের বিভিন্ন এলাকা থেকে জল নামাতে তৎপর হয়েছে কলকাতা পুরসভা। গতকাল রাত ১০টা পর্যন্ত লকগেট খোলা রেখেছিল কলকাতা পুরসভা। জল নামানো নিয়ে পুরসভার বক্তব্য, ২০০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হলে জল তাড়াতাড়ি নেমে যেতে পারে। কিন্তু বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ২০০ মিলিমিটারের বেশি হলে জল নামাতে ২৪ ঘণ্টা সময় লাগতে পারে। এদিকে গতকাল সন্ধ্যা থেকেই বিভিন্ন জায়গায় অস্থায়ী পাম্পের ব্যবস্থা করা হয়েছে পুরসভার তরফে। নজরদারি চালাচ্ছে কর্তৃপক্ষ।
প্রসঙ্গত, প্রবল বৃষ্টির জেরে কলকাতায় ঠনঠনিয়া, কলেজ স্ট্রিট, লালবাজার, মুক্তারামবাবু স্ট্রিট, এমজি রোড, গণেশ চন্দ্র এভিনিউ, সেন্ট্রাল এভিনিউ, মানিকতলা, আমহার্স্ট স্ট্রিট, ট্যাংরা, খিদিরপুর, আলিপুর, ও বেহালার বেশ কিছু অংশে জলমগ্ন হয়ে রয়েছে। এদিকে আজ ও আগামিকাল কলকাতায় বৃষ্টি চলবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দফতর। এই অবস্থায় উত্তর কলকাতা-সহ দক্ষিণ কলকাতার বিভিন্ন অংশে অল্পবিস্তর জল জমায় সমস্যা তৈরি হয়েছে।
জমা জলে পরিস্থিতি যাতে আরও বিগড়ে না যায় তার জন্য কলকাতা পুরসভার ৭৪টি পাম্পিং স্টেশনের প্রায় ৪৫০টি পাম্প এই মুহূর্তে সচল রয়েছে। শহরের নিচু এলাকাগুলিতে যেখানে জল জমার সমস্যা রয়েছে, সেখানে অতিরিক্ত পাম্প বসিয়ে জল বের করার ব্যবস্থা করেছে পুরসভা। সকাল থেকেই পুরসভার কন্ট্রোল রুম চালু করা হয়েছে। শহরবাসী কোথাও সমস্যায় পড়লে সরাসরি কন্ট্রোল রুমে ফোন করে নিজেদের অভিযোগ জানাতে পারবেন। সেই সঙ্গে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পুরসভার তরফে জানানো হয়েছে, উত্তর কলকাতায় জল জমার সমস্যা দূর করতে মুক্তারামবাবু স্ট্রিটে একটি পাম্পিং স্টেশন তৈরি করা হচ্ছে। এই মাসেই সে পাম্পিং স্টেশন তৈরি হয়ে যাবে। এই পাম্পিং স্টেশন শুরু হলেই জল জমার সমস্যা থেকে মুক্তি পাবে গোটা উত্তর কলকাতা। এদিকে খিদিরপুরে জল জমার সমস্যা মেটাতে পলি তুলে বোট ক্যানেলের সংস্কার করা হবে, সেই সঙ্গেই লিফটিং মেশিন দিয়ে এই এলাকার জমা জল বের করে দেওয়া হবে। এলাকার জল সরাসরি টালি নালায় যাতে পড়ে তার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।