ত্রিপুরায় আইপ্যাকের সদস্যদের আটকে রাখা নিয়ে ক্রমশ চাপ বাড়াচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস। বৃহস্পতিবার সকালে ত্রিপুরায় চলে এলেন তৃণমূলের রাজ্যসভার দলনেতা তথা প্রধান জাতীয় মুখপাত্র ডেরেক ও’ব্রায়েন এবং কাকলি ঘোষ দস্তিদার। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় অবশ্য বৃহস্পতিবার আসছেন না। আগামীকাল দুপুর-বিকেলের দিকে ত্রিপুরা চলে আসবেন তিনি।
বৃহস্পতিবার সকালে আগরতলায় নেমে ডেরেক বলেন, ‘শুধু এখানে নয়, সারাদেশে মোদী-শাহ (নরেন্দ্র মোদী এবং অমিত শাহ) যা শুরু করেছেন, তা অত্যন্ত গুরুতর।’ সেইসঙ্গে তাঁর কটাক্ষ, বাংলার ভোটের সময় ‘ডেলি প্যাসেঞ্জারি’ করেও বিজেপিকে জেতাতে পারেননি মোদী-শাহ। তাই এখন ত্রিপুরায় তৃণমূলকে আটকানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। ‘এখনও তো ম্যাচ তো শুরু হয়নি। তাতেই ভয় পাচ্ছে (বিজেপি)।’
বিপ্লব সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ গড়ে তুলতে বুধবার ত্রিপুরায় এসেছেন পশ্চিমবঙ্গের মন্ত্রী ব্রাত্য বসু, মলয় ঘটক, এবং তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের নেতা ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রয়োজনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও আসতে পারেন বলে জানিয়েছেন ব্রাত্য। এর মধ্যেই পড়শি রাজ্যে পা রাখলেন ডেরেক এবং কাকলি।
ইতিমধ্যে ত্রিপুরার হোটেলে ‘বন্দী’ থাকা প্রশান্ত কিশোরের সংস্থার ২৩ সদস্যের আরটি-পিসিআর টেস্ট (করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষা) নেগেটিভ এসেছে। তারপরই মঙ্গলবার রাতের দিকে তাঁদের ছাড়া হয়। সূত্রের খবর, তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন ত্রিপুরা পুলিশের এক শীর্ষ কর্তা। সেইসঙ্গে আগামী ১ এবং ২ আগস্ট তাঁদের আগরতলা থানায় (পূর্ব) তলব করা হয়েছে। দায়ের করা হয়েছে মামলা।