বাংলা বিধানসভা নির্বাচনে প্রাদেশিকতার অভিযোগ তুলে এ নিয়ে তৃণমূলকে পাল্টা আক্রমণ শানিয়েছিলেন বিজেপি নেতারা৷ প্রায় প্রতিটি সভায় বক্তৃতার কিছুটা অংশ বাংলায় বলে নিজেকে বাংলার কাছের মানুষ বলে প্রমাণ করতে চেষ্টার ত্রুটি রাখেননি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী৷ এবার মমতা দিল্লীতে গিয়ে বিরোধী জোট গঠনের তৎপরতা শুরু করতেই তাঁকে একই অস্ত্রে ঘায়েল করতে চাইছে বিজেপি৷ বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকেও শুনতে হচ্ছে ‘বহিরাগত’ কটাক্ষ৷ সামাজিক মাধ্যমেও মমতাকে দিল্লিতে বহিরাগত বলে কটাক্ষ করতে ছাড়ছেন না বিজেপি সমর্থকরা৷ তবে, বিজেপির এই আক্রমণকে বিশেষ গুরুত্ব দিতে নারাজ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ এক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর উদারহরণ দিয়ে তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য করলেন তিনি৷ দিল্লীতে তাঁকে বহিরাগত বলে আক্রমণ করা নিয়ে প্রশ্নের জবাবে মুখ্যমন্ত্রী পাল্টা বলেন, নরেন্দ্র মোদী যদি গুজরাত থেকে এসে বহিরাগত না হন, তাহলে এই অভিযোগ তাঁর ক্ষেত্রেও খাটে না৷ মমতার সপাট জবাব, ‘গুজরাট থেকে মোদী এলে ইনসাইডার, আমি এলে আউটসাইডার?’
উল্লেখ্য, মুখ্যমন্ত্রীর এই বক্তব্যকে নিছক ‘বহিরাগত’ ইস্যুর মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখতে নারাজ রাজনৈতিক মহল৷ কারণ ২০২৪-এ শেষ পর্যন্ত বিরোধী জোট গঠন হলেও তার মুখ কে হবে তা নিয়ে প্রবল জল্পনা শুরু হয়েছে৷ বিজেপি নেতারাও এ নিয়ে বিরোধীদের প্রশ্ন তুলছেন৷ বাংলায় নির্বাচনে বিপুল জয় পাওয়ার পর মমতাই বিরোধী জোটের অন্যতম প্রধান মুখ হওয়ার দাবিদার বলে মনে করা হচ্ছে৷ এমন কি, তাঁকে প্রধানমন্ত্রীর চেয়ারে দেখতে চেয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচারও শুরু হয়ে গিয়েছে৷ মমতা নিজে অবশ্য বার বার বলছেন, বিরোধী জোটের মুখ কে হবেন, তা গুরুত্বপূর্ণ নয়৷ নিজেদের মধ্যে আলোচনা করেই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারবে বিরোধী দলগুলি৷ এদিন সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপচারিতায় প্রধানমন্ত্রীর ‘আচ্ছে দিন’-এর স্লোগানকেও কটাক্ষ করেছেন তৃণমূলনেত্রী৷ মমতা বলেন আচ্ছে দিনের ফাঁকা প্রতিশ্রুতি নয়, এবার আনতে হবে ‘সাচ্চে দিন’।