‘জাগো বাংলা’র হয়ে কলম ধরলেন সিপিএমের প্রাক্তন রাজ্য সম্পাদক অনিল বিশ্বাস কন্যা অজন্তা বিশ্বাস। ‘বঙ্গ রাজনীতিতে নারী শক্তি’ শীর্ষক প্রতিবেদনে প্রাক স্বাধীনতা পর্ব থেকে সাম্প্রতিক কালের রাজনীতিতে মহিলা রাজনীতিকদের চালচিত্র নিয়ে একটি প্রতিবেদন লিখেছেন তিনি।
অজন্তা পেশাগত ভাবে অধ্যাপক। তিনি রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক। প্রেসিডেন্সি কলেজের সক্রিয় ছাত্র রাজনীতিতে অংশ নিয়েছিলেন অজন্তা বিশ্বাস। পরবর্তী কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়েও ছাত্র রাজনীতিতে যুক্ত ছিলেন। সিপিএমের পার্টি সদস্য ছিলেন অজন্তা বিশ্বাস। সক্রিয় রাজনীতি সে অর্থে করেননি তিনি, নিজের পড়াশোনায় ব্যস্ত ছিলেন।
বাম রক্ত শরীরে নিয়ে বঙ্গরাজনীতিতে নারীদের অবদান নিয়ে কলম করেছেন অজন্তা বিশ্বাস। পত্রিকায় ‘স্ট্র্যাপ’ করে বিশেষভাবে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে মূল বিষয়ের ওপর। লেখা ‘বাসন্তীদেবী থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়’। ওপরে লেখা প্রাক স্বাধীনতা পর্ব থেকে সাম্প্রতিক কালের ইতিহাসের চালচিত্রে বাঙালি মহিলাদের অবদান!
বুধবার প্রকাশিত ‘জাগো বাংলা’য় অজন্তা বিশ্বাসের লেখার এই প্রতিবেদনের প্রথম অধ্যায়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম সে অর্থে আসেনি। নাম এসেছে সুনীতিদেবী, সরোজিনী নাইডু, মোহিনী দাশগুপ্তা, উর্মিলাদেবী-সহ প্রমুখের। কিন্তু শিরোনামে পাঠকদের কাছে এটা স্পষ্ট, এরপরের অধ্যায়েই আসবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম।
সম্পাদকীয় কলমে আগামীকাল এই প্রতিবেদনের আরও একটি অধ্যায় প্রকাশিত হবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অবদান বঙ্গ রাজনীতিতে কীভাবে দেখছেন তিনি, তা পাঠেরই অপেক্ষায় পাঠকরা। একজন সিপিএমের প্রাক্তন রাজ্য সম্পাদকের কন্যার চোখে তৃণমূলনেত্রীর গ্রহণযোগ্যতা ঠিক কতটা, সেটাই মূল আকর্ষণীয় বিষয়।
বঙ্গ রাজনীতির গত ৩৪ বছরের বাম আমলের ইতিহাসের পাতা বলছে, অনিল বিশ্বাসের সঙ্গে তত্কালীন প্রধান বিরোধী মুখ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বৈরিতা বরাবরই চরমে থেকেছে। একুশের বিধানসভা নির্বাচনের পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নামটাই এখন সর্বভারতীয় স্তরে একটি ‘ব্র্যান্ড’ হিসাবে পরিগণিত হচ্ছে, অন্তত তেমনটাই বলছেন বিশ্লেষকরা। বর্তমানে সিপিএমের যে অবস্থা, সেই ক্ষয়িষ্ণু প্রেক্ষাপটে অনিল কন্যা মমতার সম্পর্কে যা লিখেছেন, তা যথেষ্ট তাত্পর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।