বিজেপিকে রুখে দিয়ে একুশের ভোটযুদ্ধে জয়ের পর গোটা দেশের নজর এখন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিকে। চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনে প্রধান বিজেপি বিরোধী মুখ ভাবা হচ্ছে তাঁকেই। এবার
মমতার দিল্লী সফরের দ্বিতীয় দিনে সংসদে প্রায় নিঃশব্দে বিরোধী জোটের একটি মহড়া হয়ে গেল। যার নেতৃত্বে রইল তাঁর দল তৃণমূলই। উপলক্ষ্য, বাদল অধিবেশনের বাকি দিনগুলিতে তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ শান্তনু সেনের সাসপেনশনের নির্দেশ প্রত্যাহারের দাবি। এই মর্মে একটি চিঠি আজ রাজ্যসভার চেয়ারম্যান বেঙ্কাইয়া নায়ডুর হাতে তুলে দিয়েছেন তৃণমূলের রাজ্যসভার মুখ্য আহ্বায়ক সুখেন্দুশেখর রায়।
সূত্রের খবর, সেই চিঠিটির খসড়া তিনি দেখিয়ে নিয়েছেন সিপিএমের সাংসদ বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য এবং কংগ্রেসের পি চিদম্বরমকে। শুধু তা-ই নয়, চিঠিটিতে বিভিন্ন বিরোধী দলের নেতাদের নাম করে বলা হয়েছে, শান্তনুকে যখন ‘নিগ্রহ’ করেছিলেন এক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, তখন তাঁরা উপস্থিত ছিলেন কক্ষে। প্রয়োজনে তাঁদের সবাইকে ডেকে মতামত নেওয়া যেতে পারে। উল্লেখ্য, এই নামগুলির মধ্যে রয়েছেন কংগ্রেসের পি চিদম্বরম, দিগ্বিজয় সিংহ, সমাজবাদী পার্টির রামগোপাল যাদব, ডিএমকের তিরুচি শিবা, এমডিএমকের ভাইকো, আরজেডির মনোজ ঝা, সিপিএমের ই করিম, বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য, শিবসেনার প্রিয়াঙ্কা চতুর্বেদী এবং অকালির বলবিন্দর সিংহ।
প্রসঙ্গত, কেন্দ্রীয় তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রীর হাত থেকে পেগাসাস সংক্রান্ত বিবৃতি কেড়ে নিয়ে ছিঁড়ে ফেলার অভিযোগে রাজ্যসভায় সাসপেন্ড করা হয়েছে শান্তনু সেনকে। তৃণমূলের অভিযোগ, সংসদ মুলতুবি হওয়ার পরে শান্তনুকে ডেকে অধিবেশন কক্ষেই গালিগালাজ করেছেন পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী হরদীপ পুরী। গোটা বিষয়টি নিয়ে রাজ্যসভার চেয়ারম্যানকে এই চিঠিটি লিখেছেন সুখেন্দু। জানিয়েছেন, দলের নির্দেশে সংশ্লিষ্ট সব বিরোধী নেতারর সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি। প্রত্যেকেই জানিয়ে দিয়েছেন, শান্তনুকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত ফিরিয়ে নেওয়ার প্রশ্নে তাঁরা তৃণমূলের পাশে রয়েছেন। পাশাপাশি, সুখেন্দুশেখর তাঁর চিঠিতে হরদীপ পুরীর বিরুদ্ধে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিও জানিয়েছেন।