পরিকাঠামোর অভাব থেকে পড়াশোনার খরচ — কারণ হাজার৷ আর তারই ফলস্বরূপ দেশজুড়ে মারাত্মকভাবে কমেছে ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে আসন সংখ্যা। ‘অল ইন্ডিয়া কাউন্সিল ফর টেকনিক্যাল এডুকেশন’ (এআইসিটিই) জানাচ্ছে, গত দশ বছর ধরে দেশজুড়ে বিভিন্ন ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে স্নাতক, স্নাতকোত্তর ও ডিপ্লোমা কোর্সে আসন কমেছে ২৩ লাখেরও বেশি। অন্তত ৬৩টি ইনস্টিটিউট বন্ধ হয়ে যাওয়ার মুখে।
২০১৫ সালেও এআইসিটিই অনুমোদিত কলেজগুলিতে ৩২ লাখের বেশি আসন ধরে রাখা হত। কিন্তু ২০১৯ সালে গিয়ে দেখা যায় দেশের প্রায় পঞ্চাশ শতাংশ ইঞ্জিনিয়ারিং আসন খালি পড়ে ছিল। এর মধ্যে ২০১৮ সালে বাংলারই একাধিক ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে প্রায় অর্ধেক আসন খালি ছিল। আর ২০১৯-এ সেই সংখ্যা আরও বাড়ে।
এআইসিটিই-এর চেয়ারম্যান অনীল সহস্রবুদ্ধে বলেছেন, গত বছর কোভিড পরিস্থিতির কারণে এই বিপর্যয় আরও বেড়েছে। তাছাড়া শহরে শুধু নয়, গ্রাম ও প্রত্যন্ত এলাকাগুলিতেও ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ তৈরির জন্য অনুমোদন চাওয়া হয়েছিল, তা এখনও সরকারের অনুমতির অপেক্ষায়।
মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের ২০১৯ সালের তথ্য অনুযায়ী, ভারতবর্ষে ৬২১৪টি ইঞ্জিনিয়ারিং ও টেকনোলজি কলেজ রয়েছে। প্রতি বছর গড়ে ১৫ লক্ষ ছাত্রছাত্রী ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করে। কিন্তু এর মাত্র ২০ শতাংশ ছাত্রছাত্রীই তাদের পাঠ্য বিষয়ে চাকরি পায়। এই বিরাট অংশের ছাত্রদের ভবিষ্যৎ নিয়ে ভাবা জরুরি।
তাছাড়া অনেক বেসরকারি কলেজে সিভিল, মেক্যানিক্যাল, ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং-এর মতো ‘কোর ডিসিপ্লিন’-এ ঠিকঠাক পরীক্ষাগারের অভাব রয়েছে। ফলে ছাত্রছাত্রীদের শিক্ষাদান ঠিকমতো হয় না। অভিভাবকদের অনেকেরই দাবি, বেসরকারি কলেজগুলিতে পড়ানোর জন্য তাঁদের যতটা খরচ করতে হয়, সেই তুলনায় যে চাকরিগুলি ছাত্রেরা পাচ্ছে, তার বেতন অনেকটাই কম। এই সমস্যাকেও অন্যতম কারণ বলে গণ্য করা হচ্ছে।