গত মার্চ মাসেও কৃষকদের রোষের মুখে পড়েছিল সরকার। গতকাল আবারও এক কৃষক আন্দোলনের সাক্ষী থাকল গোটা দেশ। মাত্র ৮ মাস আগেই কৃষক বিক্ষোভে অবরুদ্ধ হয়েছিল দেশের বাণিজ্যনগরী। সেই পথ ধরেই ফের প্রতিবাদে নামলেন মহারাষ্ট্রের কৃষকরা। এবার ক্ষতিপূরণ ও কৃষিঋণ মকুব-সহ একাধিক দাবিতে মুম্বইয়ের আজাদ ময়দানে জড়ো হয়েছিলেন অন্তত ৩০ হাজার কৃষক। শুধু তাই নয়, অরণ্যের অধিকার নিয়েও আদিবাসীরা বিক্ষোভে শামিল হয়েছেন।
বুধবার থানে থেকে কৃষকদের এই যাত্রা শুরু হয়। এবং বৃহস্পতিবার সকালে তা আজাদ ময়দানে শেষ হয়। কয়েক মাসের মধ্যে ফের কৃষকদের বিক্ষোভের মুখে পড়ায় অস্বস্তিতে মহারাষ্ট্রের ফড়নবিশ সরকার। সেই সময় কৃষকদের চাপের মুখে পড়ে বেশকিছু দাবি মানতে রাজি হয়েছিল সরকার। সেই রেশ কাটতে না কাটতেই ফের মুম্বইয়ে রাজপথে দাবি-দাওয়া নিয়ে হাজির কৃষকরা। প্রসঙ্গত, খরার মুখে পড়ে কৃষকদের ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। খরার কারণে বহু জমির ফসল নষ্ট হয়ে গিয়েছে। ফলে এর থেকে সুরাহা পেতেই তাঁরা সরকারের কাছে কৃষিঋণ মকুবের দাবি জানান।
এছাড়াও রয়েছে স্বামীনাথন কমিটির রিপোর্ট (সেখানে কৃষকদের জমি ও জলের উপর নিয়ন্ত্রণ সুনিশ্চিত করার কথা বলা হয়েছে) কার্যকর ও বনভূমি অধিকার আইন অনুসারে আদিবাসীদের হাতে অরণ্যের অধিকার অর্পণ। কৃষকদের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য নির্ধারণ এবং তা কার্যকর করতে বিচার বিভাগীয় পদ্ধতি গঠন এবং সেচ এলাকায় প্রতি একরে ১ লক্ষ টাকা এবং সেচ অসেচ এলাকায় প্রতি একরে ৫০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণের দাবি জানিয়েছেন কৃষকরা।
থানে থেকে ২১কিলোমিটার পথ হেঁটে বুধবার সন্ধ্যায় সোমাইয়া ময়দানে পৌঁছান কৃষকরা। সেখানে কিছুটা সময় বিশ্রাম নিয়ে ভোরে ফের আজাদ ময়দানের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেন। সেখানে জনসভারও ডাক দেয় লোক সংঘর্ষ মোর্চা। এই আন্দোলনকে সফল করতে মুম্বইয়ের আজাদ ময়দানে হাজির হয়েছেন অন্তত ৩০ হাজার কৃষক। তাঁদের সঙ্গে মিছিলে পা মেলান ম্যাগসাইসাই পুরষ্কার জয়ী এবং ‘ওয়াটারম্যান’ নামে পরিচিত ডক্টর রাজেন্দ্র সিং। স্বাভাবিকভাবেই কৃষকদের এই বিক্ষোভে বিপাকে সরকার। ফলে ভোটের আগে আবারও খানিকটা চিন্তা বেড়ে গেল বিজেপির।