‘সব খেলার সেরা বাঙালীর তুমি ফুটবল’। তাই বাঙালীর সেরা খেলা ফুটবলকে আরও খানিকটা জায়গা করে দিলে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নৈহাটিতে কিছু দিন আগেই যা ছিল এঁদো মাঠ, মমতার কল্যাণে সেটাই এখন আধুনিক স্টেডিয়াম! বিশ্বমানের মাঠ, আধুনিক ড্রেসিংরুম, প্রেস বক্স, ভিআইপি বক্স, উন্নত গ্যালারি, ফ্লাড লাইট—কী নেই এখানে? এখন অপেক্ষা শুধুই উদ্বোধনের। কিছু দিনের মধ্যেই মুখ্যমন্ত্রীর স্টেডিয়ামটি উদ্বোধন করার কথা।
প্রসঙ্গত, নৈহাটির কাঠগোলায় এই মাঠটিতে দীর্ঘ দিন ধরেই ক্রীড়াচর্চা হত। তবে কোনও পরিকাঠামো ছিল না। ফলে বর্ষায় যেমন জল জমত, তেমনই শক্ত মাটির মাঠ শীতে খেলার অনুপযুক্ত হয়ে পড়ত। এলাকার বাসিন্দারা দীর্ঘ দিন ধরেই এখানে একটি উন্নতমানের স্টেডিয়ামের দাবি জানিয়ে আসছিলেন। বাম আমলে প্রতিশ্রুতি মিললেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি।
প্রশাসন সূত্রের খবর, বছর তিনেক আগে এলাকার বিধায়ক পার্থ ভৌমিকের মাধ্যমে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে স্টেডিয়ামের জন্য আবেদন পাঠানো হয়। সঙ্গে সঙ্গেই অনুমোদন দিয়ে দেন তিনি। স্টেডিয়াম তৈরিতে খরচ হয়েছে সাড়ে ১৬ কোটি টাকা। গ্যালারির আসন সংখ্যা সাড়ে ৭ হাজার। পূর্ত দফতরের ব্যারাকপুর ডিভিশন স্টেডিয়ামটি তৈরি করেছে। ডিভিশনের অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়র অরুণ মহাজন জানান, ২২ হাজার বর্গমিটার জমির উপরে তৈরি হয়েছে স্টেডিয়ামটি। মাঠের মাপ সাড়ে ন’হাজার স্কোয়ার মিটারেরও বেশি।
জানা গেছে, সল্টলেক স্টেডিয়ামের মাঠ তৈরি করেছে যে সংস্থা, সেই সংস্থাকে দিয়েই তৈরি করা হয়েছে নৈহাটি স্টেডিয়ামের মাঠ। লাগানো হয়েছে ‘বারমুডা ঘাস’। যুবভারতী স্টেডিয়ামে যে পদ্ধতিতে মাটির উপরে বালির স্তরে ঘাস বসানো হয়েছে, সেই একই প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে এখানে। মাঠের নীচে জল নিষ্কাশনেরও ব্যবস্থা রয়েছে। এই স্টেডিয়াম শহরের গৌরব অনেকটাই বাড়িয়েছে বলে মনে করছেন নৈহাটির বাসিন্দারা। এ কারণে মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদও জানিয়েছেন তাঁরা।