বিজেপিকে রুখে দিয়ে একুশের ভোটযুদ্ধে জয়ের পর গোটা দেশের নজর এখন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিকে। এমনকী চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে এখন তৃণমূল নেত্রীকে স্বাগত জানাতে একরকম তৈরি কংগ্রেসও। আজ মঙ্গলবার যেমন নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দেখা করবেন মমতা, তেমনই আজ সন্ধ্যে সাড়ে ছটায় তাঁর দেখা হবে তিন কংগ্রেস নেতার সঙ্গেও। তাঁরা হলেন— কমল নাথ, আনন্দ শর্মা এবং অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি। রাজনৈতিক মহল বলছে, এই সাক্ষাৎ উষ্ণতা বিনিময়ের আছিলায় আসলে গাঁটছড়া বেঁধে এক লম্বা পথচলার শুরু।
কমল নাথের সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সম্পর্ক বরাবরই ভাল। তিনি কলকাতা এলেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করে যান। অন্যদিকে, অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি আবার নারদ-সহ বহু মামলায় তৃণমূলের আইনজীবী হিসেবেই কাজ করছেন। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মত বিজেপির বিরুদ্ধে শক্তিসাম্য তৈরি করতে আঞ্চলিক দল তৃণমূলকে বরণই করবে কংগ্রেস। আজকের এই বৈঠক তারই পূর্বাভাস। একদিকে যেমন সখ্য বাড়বে দুই দলের, পাশাপাশি ঝিমিয়ে পড়া কংগ্রেসকে উজ্জীবিত করতে ঘুঁটি সাজাবেন মমতার ভোট স্ট্র্যাটেজিস্ট প্রশান্ত কিশোর।
উল্লেখ্য, কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধী দীর্ঘ সময় ধরেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখেন। সম্প্রতি পেগাসাস কাণ্ডে দুই শিবিরের সখ্য আরো জোরালো হয়েছে। কংগ্রেস তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদাহরণ সামনে রেখে পেগাসাস নিয়ে সরব হয়েছে। আবার সদ্যসমাপ্ত বিধানসভা ভোটে ভরাডুবির পরে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী জানিয়েছিলেন, কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব চায় না ভবানীপুরে উপনির্বাচনে প্রার্থী দিক দল। যে কেন্দ্র থেকে ভোটে লড়বেন খোদ মমতা। সৌজন্যের রাজনীতির ইঙ্গিত ছিল সেখানেই। সবমিলিয়ে চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনের আগে মিলছে এক অন্য ‘খেলা’ শুরুর ইঙ্গিত।