চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে দিল্লী সফরে গিয়ে বিরোধী জোটের সলতে পাঁকাবেন তৃণমূল নেত্রী তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তাঁর সেই দিল্লী সফর শুরুর আগেই মমতার জন্য যাবতীয় রাজনৈতিক ক্ষেত্র তৈরি করতে লেগে পড়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ইতিমধ্যেই দলীয় সাংসদদের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করেছেন। এবার সংসদের মিটিং রুমে সংসদীয় দলের বৈঠক ডাকলেন ডায়মন্ডহারবার সাংসদ।
প্রসঙ্গত, ২১ জুলাই শহীদ দিবসের অনুষ্ঠান শেষ করে রাতেই এসেছেন দিল্লি। পরদিন থেকেই শুরু করে দেন বিভিন্ন কর্মসূচী। ২২ জুলাই দু’দফায় বৈঠক করেন দলের সাংসদদের সঙ্গে। প্রথমে সকালে সংসদের দলীয় দপ্তরে। পরে দুপুরে রাজ্যসভায় তৃণমূল কংগ্রেস মুখ্য সচেতক সুখেন্দুশেখর রায়ের বাড়িতে। সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন প্রশান্ত কিশোর, তৃণমূলের সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি যশবন্ত সিনহাও। পাঁচদিনের মধ্যে তৃতীয়বার সাংসদদের সঙ্গে বৈঠকে বসতে চলেছেন তৃণমূল সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক।
তবে এই বৈঠকের এক আলাদা তাৎপর্য রয়েছে। সুচনাকাল থেকে এই প্রথম সংসদের কোনও মিটিং রুমে বসতে চলেছে তৃণমূল সাংসসদের বৈঠক। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল বিভিন্ন সময়ে সংসদের মিটিং রুমে এই ধরনের বৈঠক করে থাকে। তবে এতদিন সংসদে তৃণমূলের যাবতীয় বৈঠক হয়েছে নিজেদের দলীয় দফতরে। এই প্রথম অন্যান্য সর্বভারতীয় দলগুলির মতো সংসদের কোনও মিটিং রুমে বৈঠক করতে চলেছেন তৃণমূল সাংসদরা। সূত্রের খবর, বিকেল চারটের সময় ৬২ নম্বর রুমে এই বৈঠকের অনুমতি দিয়েছেন অধ্যক্ষ ওম বিড়লা।
উল্লেখ্য, বাংলার বিধানসভা নির্বাচনের পর জাতীয় রাজনীতিতে ক্রমশ পরিচিত মুখ হয়ে উঠেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সংগঠনে নতুন দায়িত্ব পাওয়ার পর সংসদীয় দলের নেতৃত্ব দিতে বাড়তি দায়িত্ব নিচ্ছেন। দফায় দফায় সাংসদদের সঙ্গে বৈঠক, ওয়েলে নেমে দলকে নেতৃত্ব দেওয়ার মধ্যেই তা স্পষ্ট। শোনা যাচ্ছে, সাংসদদের বিভিন্ন জাতীয় ইস্যুতে ওয়াকিবহাল থাকার বার্তা দিতে চলেছেন তিনি। প্রশ্নোত্তর পর্ব, বিলের ওপর আলোচনা-সহ সংসদের যে কোনও বিষয়ে অংশ নিতে ও নিজেদের ছাপ রাখতে তৃণমূল সাংসদদের নির্দেশও দিয়েছেন ইতিমধ্যে। সোমবারের বৈঠকে কী বার্তা দেন, সেদিকে নজর দলীয় সাংসদদের।