যেমন কথা তেমন কাজ। গত ২১ জুলাই সকালে ইডেন গার্ডেন্সে গিয়ে করোনা পরীক্ষা করে আসার পর এ বার মাঠে নেমে পড়লেন মনোজ তিওয়ারি। শুক্রবার সাত সকালে সল্টলেকের মাঠে দেহরক্ষীদের নিয়ে পৌঁছে যান। বাংলার ফিটনেস অনুশীলনে নামার আগে মাঠকে প্রমান করে নিলেন রাজ্যের ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মনোজ। শুরু হল তাঁর বাইশ গজে ফেরার নতুন লড়াই।
ভারতীয় ক্রিকেটের ইতিহাসে একাধিক খেলোয়াড় ব্যাট-বলের যুদ্ধকে বিদায় জানানোর পর রাজনীতির মঞ্চে নেমেছেন। তবে মনোজ এখন পুরদস্তুর রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব হলেও ফের ব্যাট হাতে মাঠে নেমে পড়লেন। ভারতের পেশাদার ক্রিকেটে যা নজিরবিহীন।
গত কয়েক মাস তাঁর সঙ্গে ব্যাট-বলের যোগাযোগ ছিল না। তবে ফিটনেস নিয়ে আপোস করেননি মনোজ। সেটা দেখে অরুণ লালও মজেছেন। তাই বললেন, “প্রথম দিন সবার পক্ষে ফিটনেসের শীর্ষে থাকা সম্ভব নয়। কারণ কোভিডের জন্য সবাইকে ঘর বন্দি থাকতে হয়েছিল। তবুও মনোজ ও কয়েক জনের ফিটনেস দেখে বেশ ভাল লাগল। শুরু থেকে এই মরিয়া তাগিদটাই দরকার। সেটা অবশ্য গোটা মরশুম জুড়ে বজায় রাখতে হবে।”
তবে মনোজ কিন্তু অরুণ লালের কথায় ভেসে যেতে রাজি নন। সেটা বুঝিয়ে দিয়ে বলেন, “রাজনীতির সঙ্গে পেশাদার ক্রিকেট খেলার চাপ কিন্তু মারাত্মক। আশা করি দুটি মঞ্চেই নিজেকে মেলে ধরতে পারব। তবে চাপ থাকলেও ফিটনেস নিয়ে আপোষ করব না। দরকার হলে অরুণ স্যরের সঙ্গে কথা বলে আলদা ভাবে অনুশীলন করব। কারণ আমার লক্ষ্য রঞ্জি ট্রফি জয়।”
এমন নজির গড়লেও তা নিয়ে ভাবতে রাজি নন বাংলার প্রাক্তন অধিনায়ক। অনুশীলনের শেষে বলেন, “ক্রিকেট আমার প্রথম ভালবাসা। দিদি সেটা জানেন। তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার আগে মাঠে ফেরার কথা ওঁকে জানিয়েছিলাম। দিদি আমার আবেদন মেনে নিয়েছেন। তাই এই মরশুমে তিন ধরনের ক্রিকেটেই আমাকে খেলতে দেখা যাবে।”