আজ প্রথম নয়, এর আগে ২৬ জুন জম্মুর এয়ারফোর্স স্টেশনে ড্রোনের মাধ্যমে বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। এয়ার ট্রাফিক সিগনাল বিল্ডিংয়ের পাশের একটি বাড়ির ছাদে এসে পড়ে বোমা। বিস্ফোরণে আহত হন ২ জওয়ান। তার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কালুচক সেনাঘাঁটির কাছে ফের দেখা যায় ড্রোন। ড্রোন লক্ষ্য করে গুলিও চালানো হয়।
ফের গত ২ জুলাই, জম্মুর আন্তর্জাতিক সীমান্ত এলাকায় আরনিয়া সেক্টরে সীমান্তরক্ষী বাহিনী পাকিস্তানের দিক থেকে একটি ড্রোন উড়ে আসতে দেখেন। গুলি করে পাক ড্রোন নামাল ভারতীয় সেনা। এবার ড্রোনের সঙ্গে উদ্ধার হল ৫ কেজি আইইডি বিস্ফোরকও। জানা গেছে, শত্রুপক্ষ হেক্সাকপ্টার ড্রোনের মাধ্যমে নজরদারি চালানোর এবং বিপর্যয় ঘটানোর ছক কষেছিল।
হেলিকপ্টারের মতো দেখতে ছোট আকৃতির ছটি ব্লেডের হেক্সাকপ্টার উড়ে গিয়ে বিভিন্ন জায়গার ছবি তুলে আনতে সাহায্য করে৷ এটিও একধরণের ড্রোন৷ ভারতের সীমান্তের ৬ কিলোমিটার পর্যন্ত ভেতরে ঢুকে এসেছিল সেটি। ড্রোন লক্ষ্য করে বিএসএফ জওয়ানরা গুলিও চালান। এরপর ড্রোনটি ফিরে যায়। পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছিল, সম্ভবত নজরদারি চালানোর জন্য পাঠানো হয়েছিল ড্রোনটিকে।
সেনা সূত্রের খবর, গতকাল রাতে জম্মুর কানাচক সেক্টরে হানা দেয় হেক্সাকপ্টার ড্রোনটি। গুলি করে নামানোর পরে দেখা যায় তাতে আইইডি রয়েছে। বিস্ফোরণের উদ্দেশ্যেই সীমান্তের ওপার থেকে ড্রোন পাঠানো হয়েছিল বলে অনুমান।
এই নিয়ে সম্প্রতি নিরাপত্তা এজেন্সিগুলির সঙ্গে একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকও করেন জম্মু ও কাশ্মীরের ডিজিপি দিলবাগ সিং। বৈঠকে সীমান্তের বিভিন্ন এলাকা এবং শহরে নজরদারি চালানোর জন্য নিরাপত্তা এজেন্সিগুলিকে সতর্ক করেন ডিজিপি। সেই সঙ্গে, অনুপ্রবেশ ঠেকানোর বিষয়টিও দেখতে বলা হয়।