আগামী সপ্তাহের শুরুতেই দিল্লি যাচ্ছেন মমতা বন্দোপাধ্যায়। সূত্রের খবর এই দিল্লি সফরে তিনি গিয়ে দেখা করতে পারেন বিজেপি বিরোধী সমস্ত রাজনৈতিক দলের প্রধানদের সঙ্গে৷ ২০২৪- এর আগে শুরু হয়ে যেতে পারে মহাজোটের প্রস্তুতি। আর সেখানেই বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলিকে বাংলা মডেলের সুফল বোঝাবেন মমতা বন্দোপাধ্যায়।
২০২১-এর ২১ শে জুলাই। তৃণমূল কংগ্রেসের ‘শহীদ দিবস’-এর মঞ্চ থেকে দিল্লী জয়ের ডাক দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপি-র বিরুদ্ধে ফ্রন্টের ডাক দিয়ে মমতা বুঝিয়ে দিয়েছেন ২০২৪-এর কাউন্টডাউন শুরু হয়ে গিয়েছে। ২০২৪-কে সামনে রেখে তৃণমূলনেত্রীর হুঙ্কার, ‘গুজরাত নয়, বাংলাই আদর্শ মডেল৷
কী এই বাংলা মডেল? তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলছেন, ‘২০১৯- এর লোকসভা ভোটের পরে রাজনৈতিক অবস্থান যা ছিল। ২০২১ এর বাংলার ভোটের পরে সেটা আমূল বদলে গিয়েছে। মানুষ মমতা বন্দোপাধ্যায়ের উন্নয়নে শামিল। ভিন রাজ্যের মানুষও কন্যাশ্রী, রূপশ্রী, সমব্যথী, স্বাস্থ্যসাথী, খাদ্যসাথী, দুয়ারে সরকার প্রকল্পের স্বাদ পেতে চায়। আর এটাই হচ্ছে বাংলা মডেল। এর আগেও বিরোধীদের জোট হয়েছে৷ কিন্তু মানুষের জন্য উন্নয়নমূলক প্রকল্পের জোরেই যে বিজেপি-কে রুখে দেওয়া সম্ভব, সেটা ২০১১ সালের পর এই প্রথম বুঝতে পারছে বিরোধী দলগুলি।’
সূত্রের খবর, বাংলা মডেলকে সামনে রেখেই জোট বাঁধা হতে পারে।বিজেপিকে করোনাভাইরাসের চেয়েও বিপজ্জনক ভাইরাস তকমা দিয়ে মমতা বন্দোপাধ্যায় দাবি করেছিলেন, ‘খেলা একটা হয়েছে, খেলা আবার হবে। যত দিন বিজেপি-কে বিদায় করতে না পারি রাজ্যে রাজ্যে খেলা হবে। সমস্ত জায়গায় খেলা হবে। ১৬ অগাস্ট খেলা হবে দিবস হিসেবে পালিত হবে৷’
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন ২১-এর মঞ্চের ভাষণ দিয়েছেন তা শুনেছেন, পি চিদাম্বারাম, দ্বিগবিজয় সিং, সুপ্রিয়া সুলেরা। প্রত্যেক বিরোধী নেতামন্ত্রীর নাম নিয়ে তাঁদের বিরোধী ফ্রন্ট গড়ার ডাক দিয়ে মমতার দাবি ছিল, বিরোধী ফ্রন্ট দেশ চালানোর ক্ষমতায় এলে বাংলা মডেলকেই বেছে নেওয়া হবে।
তাঁর কথায়, ‘আমাদের রাজ্যে আমরা ফ্রি রেশন দিই। কোন কোন রাজ্যে আপনারা ফ্রি-তে রেশন দেন? প্রধানমন্ত্রীজি দয়া করে গোটা দেশে বিনামূল্যে রেশন দেওয়ার ব্যবস্থা করুন। আমাদের বিরক্ত করবেন না। আমাদের ফ্রন্ট যদি ক্ষমতায় আসে, তাহলে দেশের সব নাগরিককে বিনামূল্যে রেশন দেওয়া হবে। বাংলায় বিনামূল্যে রেশন দেওয়া হয়। বিনামূল্যে চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়া হয়। আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্প নয়, আমরা স্বাস্থ্যসাথীতে ৫ লক্ষ টাকা করে প্রতি পরিবারকে বছরে দিই। সরকারি হাসপাতালে পুরো বিনামূল্যে চিকিৎসা হয়।’