‘দিদিকে বলো’ এবং ‘দুয়ারে সরকার’-এর ভূয়সী প্রশংসা করল অমর্ত্য সেনের প্রতীচী ট্রাস্ট। রিপোর্টে তাদের দাবি, রাজ্যের মানুষের অসন্তোষ, অভিযোগ, ক্ষোভের ৯৫ শতাংশই নিরসন করতে পেরেছে রাজ্য সরকারের এই দুটি প্রকল্প।
২০১৯ সালে মমতা সরকার চালু করে ‘দিদিকে বলো’। ফোনে বা ওয়েব পোর্টালে সরাসরি অভিযোগ জানাতে পারেন রাজ্যের মানুষ। তা শুনে সেই সব সমস্যার সমাধান করে সরকার। কখনও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই হস্তক্ষেপ করেন। ২০২০ সালে শুরু হয় ‘দুয়ারে সরকার’। এতে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে স্থানীয় পঞ্চায়েতে ক্যাম্প বসানো হয়। দেওয়া হয় বিভিন্ন প্রকল্পের সুযোগ সুবিধা।
রাজ্য সরকারের এই দুই প্রকল্পের উপর সমীক্ষা চালিয়ে একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে প্রতীচী। যার শিরোনাম ‘অ্যাকশন ওরিয়েন্টেড গর্ভন্যান্স’। ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে, ১০ লাখেরও বেশি মানুষের অভাব অভিযোগের মোকাবিলা করেছে ‘দিদিকে বলো’। প্রায় ২ কোটি ৭৫ লক্ষ মানুষ ‘দুয়ারে সরকার’-এর ক্যাম্পে এসেছেন। সমস্যা সমাধানের হার রেকর্ড ৯৫ শতাংশ। যারা সরকারি প্রকল্পের সুযোগ পেতে প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোতে আসতে পারেন না তাঁরা এর ভরপুর সুবিধে পেয়েছেন বলে উল্লেখ করা হয়েছে রিপোর্টে।
রাজ্যের মহিলারাই তাঁর জনপ্রিয়তার মূল ভিত বলে বারবার উল্লেখ করেন মমতা। প্রতীচীর রিপোর্টও সেকথাই বলছে। পুরুষদের তুলনায় এই ক্যাম্পগুলিতে মহিলাদের ভিড়ই বেশি দেখা গিয়েছে। বাড়ির কাজ, সংসার সামলে এসেছেন প্রায় ৪৫ শতাংশ মহিলা। সরকারের কাছে জমা পড়া অভাব অভিযোগ বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, কন্যাশ্রী, রূপশ্রী, বিধবা ভাতার মতো মহিলাদের মাথায় রেখে যে স্কিমগুলি করা হয়েছে সেগুলিতে ভালো সাড়া মিলেছে। কোভিড, আমফানের মতো প্রাকৃতিক বিপর্যয়েও নিজেদের অভাব অভিযোগের কথা জানিয়েছেন মহিলারাই।