কৃষক আন্দোলন ও পেগাসাস নিয়ে উত্তাল সংসদ। কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে সংসদ চত্বরে গান্ধী মূর্তির পাদদেশে বিক্ষোভে বসলেন কংগ্রেস সাংসদরা। যোগ দিলেন রাহুল গান্ধী, অধীর চৌধুরীরাও। সংসদের অন্দরেও সরব হন বিরোধীরা। হই হট্টগোলের জেরে দুপুর ১২ টা পর্যন্ত মুলতুবি হয়ে যায় লোকসভা ও রাজ্যসভা।
কেবল কংগ্রেস নয়। অকালি দলের তরফেও এদিন বিক্ষোভ দেখানো হয়। কৃষক বিক্ষোভ নিয়ে এদিন সংসদে ২৬৭ রুল অনুযায়ী ‘সাসপেনশন অফ বিজনেস’ নোটিস দেন দুই কংগ্রেস সাংসদ দীপেন্দ্র সিং হুডা এবং প্রদীপ সিং বাজওয়া। এছাড়া পেগাসাস ইস্যুতেও মুলতুবি প্রস্তাব আনেন কংগ্রেস সাংসদ মণীশ তিওয়ারিও।
বৃহস্পতিবার সংসদের অধিবেশন শুরু হতেই সরব হয় বিরোধীরা। পেগাসাস ইস্যু ও কৃষি আইনের বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ দেখায় বিরোধীদলগুলি। চরম হট্টগোলের কারণে দুপুর ১২ টা পর্যন্ত মুলতুবি করে দেওয়া হয় লোকসভা এবং রাজ্যসভা। অন্যদিকে, কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে সংসদ থেকে কিছুটা দূরে যন্তর মন্তরে বিক্ষোভে বসেছে কৃষক সংগঠনগুলি।
তবে প্রজাতন্ত্র দিবসের বিশৃঙ্খলার কথা মাথায় রেখেই এ বারের কৃষকদের আন্দোলনে একাধিক বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। দিল্লি পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, জন্তর মন্তরে আন্দোলনকারীদের সংখ্যা ২০৬-র গণ্ডি পার করতে পারবে না। এরমধ্যে ২০০ জন সংযুক্ত কিসান মোর্চার ও ৬ জন কিসান মজদুর সংঘর্ষ কমিটির প্রতিনিধি থাকবেন।