আজকের এই দিনটিকে প্রত্যেক বছর সম্মানের সাথে পালন করা হয়। শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করা হয়। তবে এই প্রথম বাংলার গণ্ডি পেরিয়ে একাধিক রাজ্যে পালিত হতে চলেছে একুশে জুলাই। তবে ‘শহিদ’দের শ্রদ্ধা জানানোর পাশাপাশি, এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে জাতীয় রাজনীতিতে পা রাখতে চলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সুরই শোনা গেল পার্থ–ফিরহাদদের গলায়। ধর্মতলায় শহিদদের স্মরণে তৈরি বেদিতে শ্রদ্ধা জানালেন সুব্রত বক্সী, ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায়রা। দলীয় পতাকা উত্তলন করলেন রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী। সর্বভারতীয় স্তরে দলকে নিয়ে যাওয়ার বার্তা দিয়ে ধর্মতলায় ফিরহাদ হাকিম স্লোগান তুললেন, ‘বিজেপি হটাও, দেশ বাঁচাও।’ বিজেপি হটানোর বার্তা শোনা গেল পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের গলাতেও। বললেন, ‘উত্তরপ্রদেশ হোক, গুজরাত হোক, তামিলনাড়ু হোক কি ত্রিপুরা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাষণ শুনতে সবাই অপেক্ষায়। বিজেপিকে হটাতে হবে। বাংলার একমাত্র বিশ্বাসযোগ্য মুখ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২০২৪ সালের নির্বাচনে বাংলা থেকে আওয়াজ উঠবে, জনবিরোধী শক্তির বিরুদ্ধে লড়াই চাই।’
এদিন লেকটাউন শ্রীভূমি পোস্ট অফিসের সামনে শহিদ বেদিতে মাল্যদান করেন রাজ্যের দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু। মমতার ভার্চুয়াল ভাষণ দেখতে বিশাল জায়ান্ট স্ক্রিন লাগানো হয়েছে সেখানে। বিধাননগর পৌরনিগমের ৩৮ নম্বর ওয়ার্ড বাইপাসের ধারেও জাযান্ট স্ক্রিন লাগিয়ে তৃণমূল নেত্রীর বার্তা সরাসরি সম্প্রচার করা হবে। একদিকে রবীন্দ্র নৃত্য অন্যদিকে বাউল। পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি তুলির টানে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। সেইসঙ্গে ভার্চুয়াল সভার প্যান্ডেলে দিদির বক্তব্য শুনতে এলে দেওয়া হবে ঈদের সিমাই। এই উদ্যোগ নিয়েছেন ভাঙড়ের তৃণমূল কংগ্রেস নেতা সাবির শেখ। শহিদ দিবসের অনুষ্ঠানে পেট্রোল–ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধি নিয়েও প্রতিবাদ করলেন কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্র। এলেন টোটো চালিয়ে। ১৯৯৩ সালের স্মৃতিচারণায় তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী বলেন, ‘মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সামনে রেখে নিজেদের গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরে পেতে চাইছেন।’